<p style="text-align:justify">চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী, বিএনপি নেতাদের ওপর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ভয়াবহ হামলা করে। এ  ঘটনায় পটিয়ার সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ ২৭৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। </p> <p style="text-align:justify">বুধবার বিকেলে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ধলঘাট ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান চৌধুরী।</p> <p style="text-align:justify">এতে সাবেক দুই সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ও সামশুল হক চৌধুরীর পাশাপাশি সাংসদপুত্র, সাবেক এপিএসসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়। মামলাটি আমলে নিয়ে পটিয়া থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।</p> <p style="text-align:justify">গত ৪ আগস্ট পটিয়ায় শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে ছাত্র-জনতার মিছিল দুপুর দেড়টার দিকে ডাকবাংলো মোড় হয়ে মুন্সেফ বাজার আসলে আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, হকিস্টিক, লোহার রড নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে মামলার ১৯ নম্বর আসামি সোহেলসহ অনেকে ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হন। </p> <p style="text-align:justify">মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম সামশুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, কাউন্সিলর রুপক কুমার সেন, কেশব ধর, পংকজ চক্রবর্তী, প্রবোধ রায় চন্দন, সাবেক হুইপপুত্র নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, কার্তিক দে, হুইপের সাবেক এপিএস হাবিবুল হক চৌধুরী, লোকমান হোসেন, নুর রশিদ চৌধুরী এজাজ, সেকান্দর তালুকদার, মাহমুদুল হক, মোহাম্মদ উল্লাহ, সাইফুদ্দিন মল্ল, রনবীর চক্রবর্তী, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মো. সোহেল, আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর খালেদ, জসিম উদ্দিন শিশু,  মো. সাখাওয়াত, বাবু দিয়াবন, সরোয়ার রাজিন, জামশেদ আলম, আকাশ দেব, আইয়ুব আলী প্রকাশ বুইন্ন্যা, আব্দুস শুক্কুর ও জাহাঙ্গীর আলমকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া আরো ২০০ থেকে ২৫০ জনকে মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়। </p>