<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কয়েক দিন আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা খুব স্পষ্ট করেই বলেছি, আমরা আর একজন রোহিঙ্গাকেও আশ্রয় দিতে রাজি না। কিন্তু কিছু ঢুকে যাচ্ছে, এটা আমরা জানি। সেটাকে কতটুকু ঠেকানো যায় ঠেকানোর চেষ্টা করছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> তিনি মায়ানমার সীমান্তের সব এলাকাকে নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়ে বাংলাদেশের সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতার কথাও উল্লেখ করেন। উপদেষ্টা আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইউএনএইচসিআর চাইছে আমরা যেন তাদের আশ্রয় দিই। কিন্তু আমরা তাদের কাছে স্পষ্ট করেছি, আমরা ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছি। আমাদের যেটুকু ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি পালন করেছি। যারা আমাদের উপদেশ দিতে চায় তারা বরং তাদেরকে নিয়ে যাক।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> তিনি তখন পর্যন্ত আট হাজার রোহিঙ্গার নতুন করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের কথা উল্লেখ করে বলেন যে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। গত সপ্তাহে কয়েকটি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন মতে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু থেকে নাফ নদ পাড়ি দিয়ে রোহিঙ্গারা দলে দলে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে। তথ্যানুযায়ী এ মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রায় ১৪ হাজার রোহিঙ্গা টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে ঠাঁই নিয়েছে। বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় মংডু সীমান্তে আরো ৬০-৭০ হাজার রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। নাফ নদ ও সীমান্তে বিজিবি ও কোস্ট গার্ড বাহিনীর কড়া নজরদারি থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশি দালালদের সাহায্যে ওই রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশের সুযোগ পাচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><img alt="রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কাম্য" height="270" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/09.September/25-09-2024/2_kaler-kantho--25-9-2024.jpg" style="float:left" width="394" />সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কক্সবাজার শাখার সাধারণ সম্পাদক বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাখাইন রাজ্যে এখনো পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আছে। তারাও যদি বাংলাদেশে চলে আসে, তাহলে নতুন সংকট দেখা দেবে। যেকোনো মূল্যে অনুপ্রবেশ ঠেকানো দরকার।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোহিঙ্গাদের সীমান্তের বিভিন্ন স্থান দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে বলেন যে নাফ নদ ও সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে এবং তাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। ফেরত পাঠিয়ে কি তাদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করা যাবে? তাদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হলে আলোচনায় বসতে হবে মায়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। কিন্তু রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও জান্তা বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘর্ষ সে সুযোগটি দেবে কি না সন্দেহ। আন্তর্জাতিক সংস্থা এ বিষয়ে কিছু করতে পারলে ভালো হতো। তবে বাস্তবতা হলো, তারা যেন বাংলাদেশের ঘাড়ে আরো রোহিঙ্গা চাপিয়ে দিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুই. </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর রাখাইনে ৯ জন পুলিশ নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের বিতাড়ন কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশ ধীরগতিতে চললেও ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট মধ্যরাত থেকে রাখাইন রাজ্যের কয়েকটি এলাকায় রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ, বাড়িঘর পোড়ানোসহ নানা নির্যাতন চালানো হলে প্রতিদিন হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে থাকে। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১২ লাখ। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ২৩ নভেম্বর ২০১৭ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। তারপর সাত বছর কেটে গেছে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি, যদিও দুবার প্রত্যাবাসন শুরুর দিনক্ষণ ধার্য করা হয়েছিল। অং সান সু চির সরকারকে অপসারণ করে সামরিক জান্তা ক্ষমতা গ্রহণ করায় প্রত্যাবাসনের বিষয়টি আরো জটিল হয়ে যায়। আর বর্তমানে মায়ানমারের অভ্যন্তরে যে অস্থিরতা, বিশেষ করে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে জান্তা বাহিনীর যে সংঘাত চলছে, তাতে প্রত্যাবাসনের পরিবেশ কবে সৃষ্টি হবে তা কেউ জানে না। উল্টো রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এ মুহূর্তে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে আলাপ-আলোচনার কোনো সম্ভাবনা আছে বলে মনে হয় না।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিন.</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বছরের ২৪ মে জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয়ের মুখপাত্র এলিজাবেথ থ্রসেল জানিয়েছিলেন যে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে জান্তা বাহিনীর ব্যাপক সংঘাতের মুখে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের প্রায় ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা বাড়িঘর ছেড়ে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী নাফ নদের কাছে অবস্থান করছে। সে সময় ওই সংস্থার প্রধান ফলকার টুর্ক বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোকে তাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য অনুরোধও জানিয়েছিলেন। বাংলাদেশ বা পার্শ্ববর্তী কোনো দেশই সেই আহ্বানে সাড়া দেয়নি। অন্যদিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ রক্তাক্ত সংঘাত দমনে বা ওইসব রোহিঙ্গার জীবন রক্ষার্থে অন্য কোনো দেশে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে জাতিসংঘও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানি না। তাদের অজানা নয় যে বাংলাদেশ ১২ লাখের অধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে এরই মধ্যে নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে। এদিকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ফলকার টুর্ক মায়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন, যাতে মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর হাতে পাঁচ হাজার ৩৫০ জন বেসামরিক লোক নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকা সফরে এসেছিল যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব দপ্তরের ডেপুটি আন্ডারসেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান-এর নেতৃত্বে একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল। ওই দলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, যিনি এ বছরের মে মাসেও বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। উভয় সফরেই দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুটিও (প্রত্যাবাসন এবং চলমান অনুপ্রবেশ) উত্থাপিত হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন/পুনর্বাসন বা মায়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের ব্যাপারে তেমন কোনো ইতিবাচক প্রতিশ্রুতির কথা শোনা যায়নি। তবে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের আস্থার গভীরতা না বোঝা গেলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে কিভাবে দাঁড়াবে, তা বলা কঠিন। তা ছাড়া এত দিন রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিয়ে কথাবার্তা হলেও এখন রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের বিষয়টি যোগ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ সম্ভব না হলে বাংলাদেশকেই রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে হবে। মানবতার দোহাই দিয়ে বাংলাদেশের ঘাড়ে আর কত বোঝা চাপানো হবে? বিষয়টিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কি কোনো দায় নেই? জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর ভাষণে যেমন রোহিঙ্গা ইস্যুটি উপস্থাপন করতে পারেন তেমনি অন্যান্য দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকেও বিষয়টি সমাধানে তাঁদের সাহায্য চাইতে পারেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চার.   </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পররাষ্ট্র উপদেষ্টা যেমনটি বলেছেন, যারা আমাদের উপদেশ দিতে চায় তারা বরং তাদেরকে নিয়ে যাক। তিনি বাস্তবতার ভিত্তিতেই এ কথাটি বলেছেন। কারণ একমাত্র বাংলাদেশই জানে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে তাকে কত বড় বোঝা বহন করতে হচ্ছে। তাইতো রোহিঙ্গাদের প্রতি যাদের এত দরদ, তারা কিছুটা ভার বহন করে দেখাক না আমাদেরকে। এভাবে অন্যের ওপর বোঝা চাপানোর কাজটা খুব সহজ। অনেকেরই মনে থাকার কথা, ১৯৮০-১৯৯০ সময়কালে রাজনৈতিকসহ অন্যান্য কারণে প্রায় ১০ লাখ নেপালি-ভুটানিদের ভুটান থেকে বের করে দিলে তারা নেপাল ভূখণ্ডে আশ্রয় নিয়েছিল। স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরসহ ভুটান ও নেপালের মধ্যে অনেকবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পরও প্রত্যাবাসনের কাজটি করা সম্ভব হয়নি। পরিশেষে, ২০০০ সালের দ্বিতীয়ার্ধে ওই শরণার্থীদের তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা নেওয়া হয় এবং তাদের বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় লাভ করে। তবে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নরওয়ে, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ইত্যাদি দেশও কিছু শরণার্থী নিয়েছিল। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে নেপালিদের ক্ষেত্রে যা সম্ভব হয়েছিল, রোহিঙ্গা মুসলমানদের ক্ষেত্রে তেমনটি ঘটার সম্ভাবনা খুবই কম। তার পরও বর্তমান সরকার চেষ্টা করে দেখতে পারে। যদি যুক্তরাষ্ট্র বা অন্যান্য দেশকে রোহিঙ্গাদের কিছুটা অংশ নিতেও রাজি করানো যায়, তাহলে বাংলাদেশের ওপর প্রদত্ত চাপ কিছুটা কমবে। অন্যদিকে ওইসব রোহিঙ্গাও একটা স্বস্তির জীবন পাবে। এ কাজটি করলে তারা সতিই তাদের মানবিকবোধকে বিশ্ববাসীর কাছে প্রমাণ করতে সক্ষম হবে।         </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তার পরও যে কথাটি বলতেই হয়</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা যাতে তাদের নিজেদের ভিটামাটিতেই নিরাপদে ফিরে যেতে পারে এবং মায়ানমারের নাগরিক হয়ে বসবাস করতে পারে সে কাজটিই হবে উত্তম সমাধান। কারণ সেটি তাদের মৌলিক অধিকার। আর সে কাজটি যখন এক ঘোর অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে, সেখানে নতুন করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ কাম্য হতে পারে না। সেটি বন্ধ করা অপরিহার্য। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেখক : সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সচিব   </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p>