<p>কাঠমাণ্ডু থেকে প্রতিনিধি : ঋতুপর্ণার মুখে সব সময় হাসি লেগেই থাকে। গোল পান কিংবা না পান, হাসতে ভালোবাসেন এই উইংগার। ভুটান ম্যাচের আগেই মুখে হাসি নিয়েই তিনি জানিয়েছিলেন, গোল তাঁর কপালে জোটে না। দুই দিন পরই ভুটানের বিপক্ষে সেই গোলও পেয়ে যান তিনি। আর গতকাল দশরথ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ যখন গোলের জন্য হন্যে হয়ে আক্রমণ করছে, তখনই ত্রাতা হয়ে আসেন ঋতু। টাচলাইনের ঠিক ওপর থেকে তাঁর নেওয়া ক্রস উড়ে গিয়ে জড়িয়ে যায় জালে। তাঁর এ গোলেই টানা দ্বিতীয় সাফের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের।</p> <p>গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচে ঋতুপর্ণা ছিলেন আক্রমণের সুর বেঁধে দেওয়ার কারিগর। ভুটানের বিপক্ষে সেমিফাইনালে এসে গোলের খাতা খোলেন তিনি। এরপর ফাইনালের বড় মঞ্চে গড়ে দিলেন ম্যাচের ভাগ্য; জিতলেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।</p> <p>এমন প্রাপ্তির উচ্ছ্বাসে ভেসে প্রাণখোলা হাসিতে ঋতুপর্ণা জানালেন, সেরা খেলোয়াড় হবেন, এমনটা তিনি ভাবেননি কখনো, ‘সেরা খেলোয়াড় হব, এটা আমি ভাবতেও পারিনি। গোল পেয়ে আমি অনেক খুশি। খুব ভালো লাগছে। এই অনুভূতি প্রকাশ করার মতো নয়।’</p> <p>সতীর্থদের সঙ্গে উদযাপনে যোগ দিতে যাওয়ার আগে ঋতু বলে গেলেন, ‘আপনাদের দোয়ায় আমি গোল করতে পেরেছি। খেলা উঠতে (ছন্দ পেতে) একটু সময় লাগে, পরিস্থিতি দেখছিলাম। যখন দরকার, তখন ঠিকই গোল করেছি। এখন আমাদের উৎসব করার সময়। সবাইকে ধন্যবাদ আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখার জন্য। সবার দোয়ায় আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি।’ আসরে দুই গোলের সঙ্গে অ্যাসিস্ট করেছেন দুটি। লেফট উইংয়ে আলো ছড়িয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভীতি ধরিয়েছেন। বাঁ দিক থেকে তাঁর নেওয়া ক্রস ভীষণ বিপদে ফেলে দিত প্রতিপক্ষকে।</p>