<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেপ্লক্সে চিকিৎসক সংকট, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশসহ নানা সমস্যায় জোড়াতালি দিয়ে চলছে চিকিৎসাসেবা। ফলে রোগীরা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, ২০১১ সালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও প্রয়োজনীয় জনবল অনুমোদন দেওয়া হয়নি। আগের ৩১ শয্যার জনবল দিয়েই চলছে কার্যক্রম। সেখানেও রয়েছে স্বল্পতা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা যায়, ৩১ শয্যার জন্য মঞ্জুরীকৃত জনবল ১৯৯ জন। সেখানে কর্মরত আছেন ১১৬ জন। শূন্যপদ আছে ৮৩টি। প্রথম শ্রেণির মঞ্জুরীকৃত ৩৩টি পদ থাকলেও কর্মরত আছেন ১১ জন। সেখানেও চারজন নেই। তাদের মধ্যে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে একজন, প্রেষণে একজন, ফাউন্ডেশন ট্রেনিংয়ে একজন ও সংযুক্তিতে ঢাকায় একজন আছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বহির্বিভাগে রোগীদের চারটি সারি। সেখানে কেউ চিকিৎসার জন্য টিকিট নিচ্ছেন, কেউ বা ডাক্তার দেখাবেন। আবার কেউ বা ডাক্তার দেখানোর পর ওষুধ নিতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। আইএসসিআই ও পুষ্টি কর্নারে রোগী দেখছেন উপসহকারী মেডিক্যাল অফিসার সোহেল। একই দিন সকাল ১১টা ৪৭ মিনিটে জরুরি বিভাগ ফাঁকা ছিল। সেখানে কর্তব্যরত কোনো চিকিৎসক কিংবা ওয়ার্ডবয়  ছিলেন না। জরুরি বিভাগের দরজায় সুবল চন্দ্র ও আবু তালেব নামের দুজন রোগী কাতরাচ্ছেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন মনিজা, লায়লা ও আঁখিতারা নামের তিনজন। তারা বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আজ এই ওয়ার্ডে আমরা তিনজনই ভর্তি হয়েছি। আমরা বিভিন্ন রোগ নিয়ে এখানে ভর্তি হলেও নার্সদের ওপর চিকিৎসার জন্য নির্ভর থাকতে হয়। শুধু সকালে সাদা রঙের দুটি বড়ি নার্সরা দেন। আর স্যালাইন-ইঞ্জেকশন বাইরে থেকে কিনতে হয়। এই ওয়ার্ডে পানি সাপ্লাই নেই। এখানকার পরিবেশও অপরিচ্ছন্ন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওষুধ ভাণ্ডার রক্ষক তহমিদুর রহমান জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এক কোটি ৫৭ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এসেনশিয়াল ড্রাগ ৮০ শতাংশ ওষুধ সরবরাহ করে আর ২০ শতাংশ দিয়ে স্থানীয়ভাবে ওষুধসহ বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী সরবরাহ করা হয়। তবে যা বরাদ্দ আসে, সেটা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসান মো. রেজওয়ানুল কবীর বলেন, চিকিৎসক সংকটের কারণে শতভাগ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। রোগীর তুলনায় চিকিৎসক অপ্রতুল। এখানকার সমস্যা সবাই অবগত হলেও সমাধান হচ্ছে না।</span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>