<p>বাজারে সবজির দাম বাড়তে থাকায় আগাম শীতকালীন সবজি উৎপাদনে দেড় মাস আগেই মাঠে নামেন কক্সবাজারের চকরিয়ার প্রান্তিক কৃষকরা। আবাদকৃত রকমারি মৌসুমি এই সবজি এরই মধ্যে মাঠ থেকে বাজারেও মিলছে। কয়েক মাস ধরে নাগালের বাইরে থাকা সবজির দামেও প্রভাব পড়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, শীতকালীন রকমারি সবজিতে ভরে উঠেছে চকরিয়ার মাতামুহুরী নদীর দুই তীরসহ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার বিস্তীর্ণ জমি। এসব সবজি বিক্রি করে আর্থিকভাবে বেশ লাভবানও হচ্ছে কৃষক পরিবারগুলো। এখানকার উৎপাদিত সবজি দেশের বিভিন্ন জেলায়ও পাঠানো হচ্ছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এবার শীতকালীন আগাম সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তিন হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে। এরই মধ্যে মরিচ, বেগুন, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, লালশাক, পুঁইশাক, ধনেপাতা, শিম, বরবটি, ঢেঁড়শ, মিষ্টি কুমড়া, তিত করলাসহ রকমারি সবজি আবাদের সেই লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হওয়ার পথে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম নাসিম হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, অতিবৃষ্টির ধকল না থাকাসহ আবহাওয়া অনুকূলে ছিল বেশ। তাই শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ার দেড় মাস আগে থেকেই কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয় শীতকালীন আগাম সবজি চাষে। এতে পৌরসভাসহ মাতামুহুরী তীরের অন্তত ১০টি ইউনিয়নের কৃষকরা সবজি চাষে মাঠে নামেন। এরই মধ্যে নদীতীরের কোনো কোনো ক্ষেত থেকে উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ সবজি বিক্রি করে আর্থিকভাবে তাঁরা লাভবান হচ্ছেন।</p> <p> </p>