<p>ঢাকার বনশ্রী এলাকায় ১৯ জুলাই সকালে লন্ড্রি দোকানের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। দোকানের কাছেই মসজিদে জুমার নামাজ পড়েছেন। নামাজ শেষে বড় ভাই কামাল বলেছিলেন, ‘বাহিরের অবস্থা ভালো না, চল বাসায় যাই।’ বড় ভাইকে বলেছেন, ‘আমি ছেলের জন্য দোকান থেকে কলা নিয়ে বাসায় আসতেছি।’ কলা আনতে গিয়েই সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ভোলার লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত হানিফ মিয়ার ছেলে মো. মোসলে উদ্দিন শহীদ হন।</p> <p>শহীদ মোসলে উদ্দিনের কাছে ঢাকার ভাড়া বাসায়ই থাকতেন মা রোকেয়া বেগম। ছেলে মারা যাওয়ার এক মাস আগে তিনি খিলক্ষেতে মেয়ের বাসায় বেড়াতে যান। ছেলে পুলিশের গুলিতে মারা যাওয়ার সংবাদ শোনার পর রাস্তার অবস্থা খারাপ থাকায় তিনি ছেলের মরদেহটিও দেখতে পারেননি। ছেলের মরদেহ না দেখার আক্ষেপ মা রোকেয়া বেগমের। এমনকি রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষের কারণে শহীদ মোসলে উদ্দিনের মরদেহটি গ্রামের বাড়িতেও নেওয়া সম্ভব হয়নি। বনশ্রী এলাকায় একটি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।</p> <p>শহীদ মোসলে উদ্দিনের মা রোকেয়া বেগম জানান, তার চার ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে মোসলে উদ্দিন ছিলেন তৃতীয়। সংসারে অভাবের কারণে ছেলে মোসলে উদ্দিন ছোটবেলায় তার মামার সঙ্গে ঢাকায় চলে আসেন।</p> <p>শহীদ মোসলে উদ্দিনের স্ত্রী নাসরিন আক্তার স্বামী হত্যার বিচারের পাশাপাশি তার প্রতিবন্ধী ছেলে ও অনাগত সন্তানের নিশ্চয়তা দাবি করেন।</p> <p> </p>