<p>ময়মনসিংহের নান্দাইলের রাজগাতী ইউনিয়নের সুখাইজুড়ি নদী দখলে নিয়ে বাঁধ দিয়ে মাছ আটকে লিজ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নদী দিয়ে পানি নিষ্কাশিত না হওয়ায় ওই ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। বর্ষা মৌসুমে ফসল হয় না অন্তত আটটি বিলে।</p> <p>জানা যায়, প্রভাবশালীরা নদীর অংশ দখলে নিয়ে মাছ আটকে দেয়। পরে তারাই টাকা নিয়ে অন্যদের লিজ দিয়েছে। তারাই এখন মাছ মারছে। অন্য কেউ মাছ ধরতে পারে না। সুখাইজুড়ি নদীটি গিয়ে মিলেছে তাড়াইল উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া নরসুন্দা নদীতে। প্রায় ১৩ কিলোমিটার পর্যন্ত নদীটির মধ্যে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার মৃত। স্থানীয় দরিল্লা মাদরাসার কাছ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীটির মধ্যে পানি থাকে সারা বছর। এই সুযোগে স্থানীয় প্রভাবশালীরা নদী দখলে নিয়ে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে। আবার অনেকেই পানি থাকা অবস্থায়ই ঘের দিয়ে দখলে নিয়ে নেয়। পরে প্লাস্টিকের নেট বা বাঁশ দিয়ে সীমানা তৈরি করে নদীতে থাকা মাছ আটকে অন্যজনকে কমপক্ষে ছয় মাসের জন্য লিজ দিয়েছে।</p> <p>স্থানীয় লোকজন জানায়, দরিল্লা গ্রামের খোকন মিয়া নদীর বড় অংশ দখলে নিয়ে মাছ চাষ করছেন দীর্ঘদিন ধরে। বর্তমানে তিনি এই দখলকৃত জায়গা পাশের গ্রামের মামুন মিয়ার কাছে এক বছরের জন্য লিজ দিয়েছেন দুই লাখ টাকায়। অন্যদিকে আব্দুল মতিন নামের এক ব্যক্তি নদীর অংশ দখলে নিয়ে ছফির উদ্দিনের কাছে ছয় মাসের জন্য লিজ দিয়েছেন ৫০ হাজার টাকায়। এভাবে নদী দখলে নিয়ে স্থায়ীভাবে খড়া পেতে মাছ ধরছে সোহেল, সঞ্জু, রশিদসহ অনেকই। তা ছাড়া নদী আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে অনেকেই।</p> <p>দরিল্লা গ্রামের মইন উদ্দিন (৬০) বলেন, ‘উন্মুক্ত নদীতে অনেক মাছ ছিল। আগে নদীতে নেমে মাছ ধরতাম। গত প্রায় ২০ বছর নামতে পারি না। নদী দখল করে নিয়েছে অনেকেই।’</p> <p>জানতে চাইলে লিজ নেওয়া মামুন মিয়া বলেন, ‘তারা (প্রভাবশালী) তো কষ্ট করে সীমানা দেয়। পরে আমরার কাছে ওই অংশটুকু বিক্রি করে। মাছ শিকার শেষ হলে আবার তারা দখলে নিয়ে নেয়।’ </p> <p>এ বিষয়ে জানতে নদী দখলদার খোকন, মতিনসহ অনেককে খোঁজ করে পাওয়া যায়নি। পরে তাদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ফোন দিলেও তারা ফোন ধরেননি।</p> <p>নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুণ কৃষ্ণ পাল জানান, তিনি বিষয়টির ব্যাপারে খোঁজ নেবেন। সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>