<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ৪ আগস্ট দিনব্যাপী ছাত্র</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-জনতার মুখোমুখি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। সকাল গড়িয়ে বিকেল। হাজারো ছাত্র-জনতার মিছিলে উত্তাল হয়ে ওঠে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌরশহর। এই মিছিলে যোগ দেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ছুড়ে পুলিশ। এতে আহত হন শতাধিক। এদেরই একজন পাকুন্দিয়া পৌর এলাকার শিক্ষার্থী শুভ মিয়া (২১)। সেদিন পুলিশের ছররা গুলিতে তাঁর দুটি পা ঝাঁঝরা হয়ে যায়। তাঁর ডান পা থেকে কিছু গুলি বের করলেও আরো কিছু গুলি পায়ে আটকে আছে। চার মাস চিকিৎসা নিয়ে ৪ নভেম্বর নিজ বাড়িতে আসেন তিনি। আহত শুভ কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌর এলাকার হাপানিয়া গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দীনের ছেলে। তিনি এ বছর পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শুভ মিয়া জানান</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, ৪ আগস্ট দুপুরে ছাত্র-জনতাকে দমাতে পুলিশ শত শত ছররা গুলি, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় একজন পুলিশ দৌড়ে এসে তাঁর পা লক্ষ্য করে ছররা গুলি ছুড়ে। এতে তাঁর দুটি পা ঝাঁঝরা হয়ে যায়। খুব কাছ থেকে গুলি করায় বন্দুকের সব গুলি তাঁর পায়ে বিঁধে যায়। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে খুব কষ্ট করে দৌড়ে প্রাণে রক্ষা পান। এরপর বন্ধুরা রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, পরে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতাল ও সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসক অপারেশন করে তাঁর ডান পা থেকে শতাধিক গুলি বের করলেও এখনো শতাধিক গুলি পায়ের ভেতর রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরেজমিনে শুভ মিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, পায়ে গুলির ক্ষতচিহ্ন নিয়ে খাটের ওপর কাতরাচ্ছেন শুভ। পা দুটি শুকিয়ে চিকন হয়ে গেছে। পাশে হতাশা আর উৎকণ্ঠা নিয়ে বসে আছেন তাঁর মা ও বোন। ছেলে সুস্থ হয়ে পুনরায় কলেজে যেতে পারবেন কি না এ নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন তাঁর মা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>