<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাস্তার কাজ শেষ না করে পুরো বিল তুলে নিয়ে পালিয়েছেন ঠিকাদার। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে শাহজাদপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের হাজারো মানুষ। এ অবস্থা চলছে দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর ধরে। পৌর কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাহজাদপুর প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের যোগাযোগব্যবস্থা বেহাল। এই ওয়ার্ডের নলুয়া শামসুলের বাড়ি থেকে শাহজাহান মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তার কাজ শেষ না করে ঠিকাদার পালিয়ে গেছেন। দুধসমৃদ্ধ পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডে রয়েছে বিপুলসংখ্যক গো-খামার। রয়েছে একাধিক দুগ্ধ সমিতি। এ রাস্তার পাশেই রয়েছে নলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নলুয়া প্রাথমিক দুগ্ধ সমিতির ম্যানেজার হারুন-অর-রশীদ জানান, তাঁর এলাকায় শতাধিক গো-খামার রয়েছে। এ ছাড়া এই গো-খামারকে কেন্দ্র করে দুটি দুগ্ধ সমিতিও রয়েছে। এই সমিতির মাধ্যমে মিল্ক ভিটায় দুধ সরবরাহ করা হয়। রাস্তাটি বেহাল হওয়ায় অনেক কষ্ট করে তাঁদের মিল্ক ভিটায় দুধ পৌঁছাতে হচ্ছে। সময়মতো দুধ দিতে না পারলে মিল্ক ভিটাও দুধ নিতে অনীহা প্রকাশ করে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুননাহার জানান, তাঁর স্কুলে যাতায়াতের জন্য একটি মাত্র পথ। রাস্তায় ইট বিছানো ছিল। ঠিকাদার রাস্তাটি পাকা করতে এসে রাস্তার ইট সরিয়ে ফেলেন। তখন থেকেই সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়। বর্ষা এলে গর্তে হাঁটুপানি জমে যায়। তখন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি প্রায় অর্ধেক নেমে যায়। আর শুকনা মৌসুমে ধুলাবালিতে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শাহজাদপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হারুন-অর-রশীদ জানান, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ইউজি ওয়ান ওয়ানপি-৩ প্রকল্পের (নগর পরিচালন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প) অধীনে প্রায় তিন কোটি দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকায় নলুয়ার ওই রাস্তাটি নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। নাটোর জেলার ঠিকাদার মীর হাবিবুর আলম টেন্ডারের মাধ্যমে রাস্তাটি নির্মাণের জন্য কাজ পান।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শাহজাদপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র হালিমুল হক মিরু বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিন বছর আগে শাহজাদপুর পৌরসভার নতুন মেয়র মনির আক্তার খান তরু লোদী নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটির নির্মাণকাজ শুরু করার কথা থাকলেও সেটি হয়নি। আমি একটি মামলায় জেলে যাওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত মেয়র ছিলেন আব্দুল রাজ্জাক। ওই সময় ঠিকাদার রাস্তার কাজের ৩০ লাখ টাকা বিল তুলে নিয়ে সটকে পড়েন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>