<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণিত বিভাগের শিক্ষক আইরিন আক্তারের শিক্ষক পদে চাকরি পাওয়া তো দূরের কথা আবেদন করার মতো শিক্ষাগত যোগ্যতাও নেই তাঁর! নানা কৌশল কাজে লাগিয়ে শেষ পর্যন্ত গণিত বিভাগে সহকারী অধ্যাপক পদে ঠিকই নিয়োগ বাগিয়ে নেন তিনি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে গণিত বিভাগে অধ্যাপক এবং সহকারী অধ্যাপকের (স্থায়ী) দুটি পদের জন্য যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, তাতে শর্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার যেকোনো একটিতে ন্যূনতম </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> (৫.০০ পয়েন্টভিত্তিক গ্রেড সিস্টেমে জিপিএ ন্যূনতম ৪.০০ চতুর্থ বিষয় বাদে এবং চতুর্থ বিষয়সহ ৪.৫০) থাকতে হবে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, আইরিন আক্তারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪.০০ পাননি। রাজশাহী বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষায় তাঁর জিপিএ যথাক্রমে ৩.৭৫ পেয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সহকারী অধ্যাপক (স্থায়ী) পদের ঠিক নিচে ব্র্যাকেটে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কনসিকোয়েন্সি ভেকান্সি উইথ ফিলাপ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-এর মাধ্যমে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শূন্য পদ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> লেখা হয়েছে। আবেদনের শর্তে প্রতিটি স্তরে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ প্রার্থীর ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করা যেতে পারে। তবে একজন প্রার্থীর ক্ষেত্রে কী কী বিষয়ে শর্ত শিথিল হবে তা উল্লেখ করা হয়নি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্ববিদ্যালয় আইনের কোথাও রেজাল্ট শিথিলের কথা উল্লেখ নেই। তা সত্ত্বেও বিজ্ঞপ্তিতে অভ্যন্তরীণ প্রার্থীর ক্ষেত্রে শর্ত শিথিলের কথা জুড়ে দিয়ে আইরিন আক্তারকে অস্থায়ী প্রভাষক থেকে এক লাফে সহকারী অধ্যাপক পদে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে অধ্যাপক পদে শিক্ষক না থাকায় ওই পদের বিপরীতে ২০১৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর আইরিন আকতারকে প্রভাষক (অস্থায়ী) নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে তাঁকে কৌশলে ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন মাসের শিক্ষাছুটিতে পাঠিয়ে অধ্যাপক পদের বিপরীতে থাকা প্রভাষক পদটি খালি দেখানো হয়। এরপর আইরিন আক্তারকে যে পদে স্থায়ী করার কথা, সেই অধ্যাপক পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আইরিন আক্তারের ছুটির সময়ে অধ্যাপক পদে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একই বিভাগে সহকারী অধ্যাপকের স্থায়ী পদে কমলেশ চন্দ্র রায় কর্মরত ছিলেন। তিনি পদোন্নতি পেয়ে সহযোগী অধ্যাপক হন। এরপর সহকারী অধ্যাপক পদটি খালি হয়ে যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি লোক-দেখানো।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আইরিন আক্তারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে উত্তর না দিয়েই কল কেটে দেন তিনি। পরে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বর্তমান উপাচার্য ড. শওকাত আলী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শর্ত শিথিল করার সুযোগ নাই। তাঁর তো কোয়ালিফিকেশন নাই। তাঁর নিয়োগ বোর্ডে আমি ছিলাম, তাঁকে তো আমি শিক্ষক হিসেবে নিতেই চাই নাই। আমি পাঁচজনের মধ্যে কিছুই করতে পারি নাই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>