<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের হলে এনে নির্যাতন করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। দিনে-দুপুরে এসব ঘটনা ঘটে থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং হল প্রশাসন ছিল নীরব। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে একাধিক অভিযোগ গেলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি, ভুক্তভোগীদের সহযোগিতাও করেননি। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক শিক্ষার্থীর দেওয়া একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে অনুসন্ধান করে এসব তথ্য পান এই প্রতিবেদক।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অনুসন্ধান বলছে, পাবিপ্রবিতে মোটাদাগে শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার হন ২০২৩ সালের এপ্রিল ও মে মাসে। ৩ এপ্রিল রাতে লোকপ্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী গোলাম রহমান জয়, ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আসাদুল ইসলাম এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের আবদুল আজিজকে শিবির সন্দেহে বঙ্গবন্ধু হলে নিয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সেখানে তাঁদের রাতভর নির্যাতন করে ভোর রাতে পুলিশের হাতে তুলে দেন ছাত্রলীগ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এরপর ৪ এপ্রিল সকালে পুরকৌশল বিভাগের আবু হুরায়রা মুন, স্থাপত্য বিভাগের আবদুস শাকুর রিফাত, নগর ও অঞ্চল উন্নয়ন (ইউআরপি) সাব্বির হোসেন শাওনকে হলে এনে নির্যাতন করে চাঁদা আদায় করেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১০ এপ্রিল রাতে স্থাপত্য বিভাগের সাজিদুল করিম মুন্নাকে  হলে নিয়ে যান ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। একই রাতে  সমাজকর্ম বিভাগের মেহেদী হাসান মিমকে তুলে এনে নির্যাতন করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকা এবং ৪৫ হাজার টাকার ফোন নিয়ে সকালে ছেড়ে দেওয়া হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১৬ থেকে ৩০ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদুল ফিতরের বন্ধ থাকলে ছাত্রলীগের </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিবির ধরা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> অভিযানও বন্ধ থাকে। ১ মে বিশ্ববিদ্যালয় খুললে ছাত্রলীগ পুনরায় শিবির ধরা অভিযান শুরু হয়। এই অভিযানের অংশ হিসেবে ৬ মে সকালে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের আবদুল্লাহ ইবনে নূরকে হলে এনে নির্যাতন করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এভাবে অনুসন্ধানে ছাত্রলীগের শিক্ষার্থী নির্যাতনের তথ্য বের হয়ে আসে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভুক্তভোগী রাকিবুল হাসান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যেদিন মামাকে নিয়ে প্রক্টরের কাছে অভিযোগ করতে যাই প্রক্টর আমাদের সহযোগিতা করতে রাজি হননি। তিনি এই ঘটনায় আমাদের থানায় অভিযোগ করতে বলেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> অভিযোগের বিষয়ে সাবেক প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সে সময় অনেক কিছুই ঘটেছে। আমি যা শুনেছি সেটি ওপর মহলকে জানিয়েছি; কিন্তু তারা আমাকে কোনো সহযোগিতা না করার কারণে আমি এসবের বিচার করতে পারিনি। এর জন্য আমি সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p> </p>