<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভারত থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কুমিল্লার ১৪টি উপজেলা। অন্য উপজেলাগুলো থেকে পানি অনেকটা নেমে গেলেও লাকসাম ও মনোহরগঞ্জের অনেক এলাকা এখনো পানিতে নিমজ্জিত। বন্যার পর এই দুই উপজেলায় চলাচলের প্রধান সড়কটি খানা-খন্দে পরিণত হয়েছে। বেহাল সড়কেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে স্থানীয়রা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা যায়, বন্যার শুরুতে এই সড়কের কোথাও হাঁটু, আবার কোথাও কোমরসমান পানি ছিল। পানি নামতেই ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের ক্ষত ভেসে উঠেছে। পুরো সড়কটিতে এখন শত শত ছোট-বড় গর্ত। এ কারণে ওই সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। আগে সড়কটিতে চলাচলে মানুষের প্রধান বাহন ছিল সিএনজিচালিত অটোরিকশা। বর্তমানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কয়েকটি সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করলেও বেশির ভাগ চালকই ভয়ে এই পথে যেতে রাজি হচ্ছেন না। বাধ্য হয়ে মানুষকে ঝুঁকি নিয়েই হাল চাষের ট্রাক্টরে করে সড়কে চলতে হচ্ছে। আবার অনেকে হেঁটেও সড়কটি পার হচ্ছেন। ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সড়কটির লাকসাম উপজেলা অংশের গাজীমুড়া এলাকা থেকেই খানাখন্দের শুরু। মোহাম্মদপুর, গোবিন্দপুর, মিজিয়াপাড়া, গাজীরপাড় এলাকায়ও ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। লাকসাম থেকে মনোহরগঞ্জের আশিরপাড় বাজার পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার এলাকায় কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। তবে আশিরপাড় থেকে মনোহরগঞ্জ বাজার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়কে চলাচলের যেন উপায় নেই। এই অংশ পার হতে ট্রাক্টরই একমাত্র ভরসা। হাল চাষের ট্রাক্টরে ট্রলি লাগিয়ে জনপ্রতি ৮০ টাকা করে পাঁচ কিলোমিটার এলাকা পারাপার করা হচ্ছে। এতে সড়কের অবস্থা প্রতিনিয়ত আরো বেহাল। আশিরপাড় থেকে মনোহরগঞ্জ বাজার পর্যন্ত পুরো সড়কে শত শত বিশাল আকৃতির গর্ত। দূর থেকে দেখলে মনে হবে সড়কের মধ্যে ছোট ছোট পুকুর। মনোহরগঞ্জ অংশের খানাতুয়া, মৈশাতুয়া, গোয়ালীয়ারা, হাটিরপাড় এসব এলাকার অবস্থা বেশি ভয়াবহ। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মনোহরগঞ্জের আশিরপাড় উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুরুন্নবী চৌধুরী ওরফে সেলিম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই সড়কটি বর্তমানে চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আগে ৪০ টাকা দিয়ে মনোহরগঞ্জ থেকে লাকসাম যাওয়া যেত। এখন সেখানে খরচ হয় ১২০ থেকে ১৫০ টাকা।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মনোহরগঞ্জ উত্তর বাজার এলাকার ব্যবসায়ী অহিদুর রহমান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মনোহরগঞ্জ থেকে লাকসাম চলাচলের প্রধান সড়ক এটি। বর্তমানে সড়ক থেকে পানি নেমে গেছে। কিন্তু এর পরও দেখলে মনে হবে সড়কে এখনো বন্যা। কারণ সড়কের বড় গর্তগুলোতে পানি জমে রয়েছে। এসব কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে গেছে সড়টিতে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সায়েদুজ্জামান সাদেক বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এবারের ভয়াবহ বন্যায় পুরো জেলায় আমাদের ৯৬৮ কিলোমিটার সড়ক পানিতে তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ওই সড়কটিও রয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যেই এসব সড়ক সংস্কার করা সম্ভব হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>