<p>‘আমার ছেলে পড়ালেখা করে অনেক বড় ইঞ্জিনিয়ার হবে। আমাদের অভাব-অনটন দূর করবে। এখন আমি কাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখব। আমার সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। আমি এখন কাকে নিয়ে বাঁচব। আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।’</p> <p>ছেলেকে হারিয়ে বিলাপ করতে করতে কথাগুলো বলছিলেন নিহত আহনাফ আবীরের (৩০) মা আছিয়া খাতুন। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে মা এখন দিশাহারা। টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার বারপাখিয়া গ্রামের হারুন অর রশীদ ও আছিয়া খাতুন দম্পতির তৃতীয় সন্তান আহনাফ আবীর।</p> <p>গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আনন্দ মিছিলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় সাভারের বাইপাইল এলাকায় শিক্ষার্থী আহনাফ আবীর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।</p> <p>ছেলের শোকে একটি ঘরে মা শুয়ে কান্না করছেন। ছেলের কথা বলতে বলতে শোকে কাতর হয়ে যাচ্ছেন।</p> <p>আহনাফ আবীর আশরাফুল্লাহ ২০১১ সালে দেলদুয়ার সরকারি সৈয়দ আব্দুল জব্বার বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। মুন্সীগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ২০১৬ সালে ইলেকট্রিক্যাল বিভাগ থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। তারপর মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।</p> <p>৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আনন্দ মিছিলে অংশ নেন আহনাফ। পরে ছাত্র-জনতা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে সাভারের বাইপাইল এলাকায় আহনাফ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরদিন (৬ আগস্ট) টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার বারপাখিয়া গ্রামের বাড়ি স্থানীয় করবস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।</p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>