<p>দেবী বোধনের মধ্যে দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা আগামী ৯ অক্টোবর শুরু হবে। সে হিসাবে আর বাকি আছে মাত্র কুড়ি দিন। এবার বগুড়ায় ৬৩০টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজাকে কেন্দ্র করে বগুড়ার প্রতিমা তৈরির শিল্পীদের এখন দম ফেলার সময় নেই। দিনরাত পরিশ্রম করে ফুটিয়ে তুলছেন দেবী দুর্গার রূপ। সময়মতো প্রতিমা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রতিমা শিল্পীরা। বগুড়ার পুরোহিত প্রদীপ চক্রবর্তী জানান, আগামী ২ অক্টোবর মহালয়ার মাধ্যমে দেবী পক্ষের শুরুতে দেবী দুর্গার মর্তে আগমন ঘটবে। ৮ অক্টোবর দেবী বোধনের মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ৯ অক্টোবর ষষ্ঠি পূজায় উৎসব শুরু হবে। শেষ হবে ১২ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্যে দিয়ে। তবে নবমী-দশমী এক দিনে হওয়ায় পূজার আনন্দ কিছুটা কম হবে।</p> <p>এ বছর দেবী দুর্গার আগমন হবে দোলায় বা পালকিতে চড়ে এবং গমন হবে ঘোটকে বা ঘোড়ায়।</p> <p>বগুড়া সদরের উত্তর চেলোপাড়া নব বৃন্দাবন হরিবাসর মন্দির প্রাঙ্গণে প্রতিবছর প্রতিমা তৈরি করেন কাজল চন্দ্র প্রামাণিক।</p> <p>তিনি জানান, এ বছর বগুড়া সদরসহ আশপাশের উপজেলা থেকে প্রায় ১৯টি প্রতিমা তৈরির অর্ডার পেয়েছেন। প্রতিটি প্রতিমার জন্য ২০ থেকে ৪৫ হাজার টাকায় অর্ডার নিয়েছেন।</p> <p>বগুড়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু রায় নির্মল জানান, এ বছর বগুড়ায় সর্বমোট ৬৩০টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজার সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য জেলা-উপজেলায় মনিটরিং সেল গঠন এবং পূজামণ্ডপের নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠনের নির্দেশনা দেওয়া ছাড়াও মণ্ডপগুলোতে উচ্চৈঃস্বরে মাইক ও গানবাজনা পরিহার করে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রতিটি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশনাসহ বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়।</p>