<p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর মানিকগঞ্জ জেলা শহরে পরিবহন চাঁদাবাজি বন্ধ হয়েছে। তবে বেড়েছে যানজট। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তায় শহরে নিষিদ্ধ যানবাহন ঢুকে পড়ায় যানজট বেড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি শহরের বৈধ যানবাহনের আয়-রোজগার কমেছে। মানিকগঞ্জের মতো ছোট্ট শহরের অপ্রশস্ত সড়কে বাস কিংবা মিনিবাসের মতো গণপরিবহন চলাচল করতে পারে না। ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল ছাড়া হ্যালোবাইক, যান্ত্রিক ও পেডালচালিত রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা যাত্রীদের একমাত্র ভরসা। মানিকগঞ্জ জেলা শহরে অটোবাইককে চলাচল করতে হলে পৌরসভার নিবন্ধন লাগে। শহরের প্রয়োজন অনুযায়ী হিসাব করে প্রতিবছর ১০ হাজার টাকা ফি নিয়ে প্রায় এক হাজার হ্যালোবাইককে নিবন্ধন দেওয়া হয়। কিন্তু নিবন্ধনের বাইরেও আরো অন্তত এক হাজার হ্যালোবাইক চলাচল করে। শহরে ইঞ্জিনচালিত রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ, কিন্তু এই রিকশাও চলাচল করে প্রায় এক হাজার। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এত দিন এসব অবৈধ হ্যালোবাইক ও ইঞ্জিনচালিত রিকশা চলাচল করত চাঁদার বিনিময়ে। সরকারি দলের কয়েকজন মিলে এই চাঁদা আদায় করত। এর মূল হোতা ছিলেন মানিকগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন। মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, বেওথাঘাট, দুধ বাজারসহ কয়েকটি পয়েন্টে ছিল তাঁর পেটোয়া বাহিনী। প্রতিদিন নির্দিষ্ট অঙ্কের চাঁদা দিলেই সড়কে নামতে পারত যানবাহন। এক হিসাবে দেখা গেছে, প্রতিটি হ্যালোবাইক থেকে প্রতিদিন ৫০ টাকা এবং ইঞ্জিনচালিত রিকশা থেকে ৩০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করা হতো। এ ছাড়া উপজেলা থেকে আগত সিএনজিচালিত স্কুটার থেকে আদায় করা হতো ৫০ টাকা হারে।ছাড়পত্র না থাকলে আটক করে শহরে গার্লস স্কুল রোডে অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশের অফিসে আটকে রাখা হতো। এ ছাড়া কিছু ট্রাফিক পুলিশ বেনামে অটোবাইক এবং রিকশা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছিল বলে অভিযোগ ছিল। মানিকগঞ্জ শহরে এই চাঁদাবাজির নিউজ বিভিন্ন সময় কালের কণ্ঠসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কিন্তু রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর মানিকগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন গাঢাকা দেন। এর পর থেকে বৈধ অথবা অবৈধ কোনো যানবাহন থেকেই চাঁদা আদায় করা হচ্ছে না। যেসব পয়েন্টে চাঁদা আদায় করা হতো, সরেজমিনে সেখানে গিয়ে চাঁদা আদায়কারীদের দেখা যায়নি।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ব্যাপারে পৌরসভার নিবন্ধিত হ্যালোবাইকের চালক ও মালিকের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। আবদুল কাদের নামের একজন হ্যালোবাইকচালক বলেন, চাঁদাবাজরা উধাও হওয়ায় এবং পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কারণে এখন বাইরের হ্যালোবাইক ও রিকশা অবাধে শহরে ঢুকে পড়ছে। ফলে আগের যানজট আরো তীব্র হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জহির আলম নামের অপর একজন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা বছরে ১০ হাজার টাকা ফি দিয়ে নিবন্ধন নবায়ন করি। অথচ বাইরে থেকে যারা আসে, তাদের কোনো খরচ নেই। শহরে তাদের ঢোকা নিষিদ্ধ হলেও ট্রাফিক পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মানিকগঞ্জের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর এ কে এম মিরাজ উদ্দিনের মোবাইলে কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।</span></span></span></span></p>