<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাইবান্ধার বানিয়ারজান এলাকায় পৌরসভার নিজস্ব ভাগাড়ে স্থানীয়রা ময়লা ফেলতে বাধা দেওয়ায় পৌরসভার আবর্জনা সংগ্রহের কাজ প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ময়লা-আবর্জনা জমে যাওয়ায় শহরটি দুর্গন্ধময় ও অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠতে শুরু করেছে। ডাস্টবিন ছাড়িয়ে ময়লা-আবর্জনা রাস্তায় ছড়াচ্ছে। নাকে কাপড় দিয়ে মানুষ চলতে বাধ্য হচ্ছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয়ের পরদিন থেকে শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বানিয়ারজান এলাকায় অবস্থিত পৌরসভার কেন্দ্রীয় ভাগাড়ে স্থানীয়রা ময়লা-আবর্জনা ফেলতে বাধা দেয়। ফলে ময়লা-আবর্জনাবাহী ট্রাকগুলো ফিরে আসতে বাধ্য হয়। ৪০ বছর ধরে পৌরসভা তাদের নিজস্ব ওই ভাগাড়ে প্রতিদিন শহরের প্রায় ৯-১০ ট্রাক আবর্জনা ফেলে আসছিল। পাকা দেয়াল দিয়ে ঘেরা ৩৫৩ শতাংশ জমির ওপর ভাগাড়টি অবস্থিত।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওই এলাকার ভুক্তভোগী বাসিন্দা স্বপন মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা পৌর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য অন্য জায়গা নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কারণ ভাগাড়টি বিষাক্ত হয়ে ওঠায় এলাকায় অসুখবিসুখ ছড়াচ্ছিল।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শহর ঘুরে দেখা গেছে, আবর্জনা ফেলার জায়গা না পাওয়ায় শহরের প্রায় ৩০টি ডাস্টবিন ছাড়াও বিভিন্ন এলাকার ময়লা সংগ্রহের কাজও ঠিকভাবে করা হচ্ছে না। দিন দিন ওই সব এলাকায় ময়লার স্তূপ বড় হচ্ছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ব্যাপারে পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক উপসচিব মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রতিটি ওয়ার্ডে আলাদা আলাদা ভাগাড় করে এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সিদ্ধান্ত আপাতত গ্রহণ করা হয়েছে, যা দ্রুত কার্যকর হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>