<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গোপালগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৪০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। ২০ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের অন্যত্র প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। গত শুক্রবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের ছুটফা এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাসপাতালে চিকিৎসারত আহতরা জানান, জালালাবাদ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম মারুফ রেজা ও সাবেক চেয়ারম্যান এম সুপারুল আলম টিকের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার সকালে এম সুপারুল আলম টিকের সমর্থক হিমু মোল্যার লোকজন চেয়ারম্যান মারুফ রেজার সমর্থক রহমান মোল্যাকে ধাওয়া করে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরে সাবেক চেয়ারম্যানের সমর্থক ৩ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার সাইদুল মোল্যা, তাঁর ভাইসহ অন্যরা বর্তমান চেয়ারম্যানের সমর্থক স্বপন মোল্যা ও তাঁর ছেলে সেতু মোল্যাকে কুপিয়ে আহত করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিকেলে দুই পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলে রাত পর্যন্ত। দুই ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংঘর্ষে গুরুতর আহত স্বপন মোল্যা, রাসেল মোল্যা, বাশার মোল্যা, আনিস মোল্যা, জুয়েল মোল্যা, আয়ুব শেখ, সেতু, ফরিদ মোল্যা, আরিফ (৬৫), কেরামতসহ ২০ জনকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাবেক চেয়ারম্যান এম সুপারুল আলম টিকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এস এম মারুফ রেজার সমর্থকরা আমার লোকজনের ওপর হামলা চালায়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম মারুফ রেজা বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাবেক চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে আমার লোকজনের ওপর হামলা চালানো হয়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. আনিচুর রহমান জানান, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</span></span></span></span></p>