<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর যে ১৮৭ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য যোগদান করেননি, তাদের বেতন বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ গ্রেপ্তারের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে যাদের পাসপোর্ট রয়েছে সেগুলোও বাতিল হচ্ছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র বলছে, কাজে যোগ না দিয়ে পলাতক থাকা পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন একজন ডিআইজি, সাতজন অতিরিক্ত ডিআইজি, দুজন পুলিশ সুপার, একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, পাঁচজন সহকারী পুলিশ সুপার, পাঁচজন পুলিশ পরিদর্শক, ১৪ জন এসআই ও সার্জেন্ট, ৯ জন এএসআই, সাতজন নায়েক এবং ১৩৬ জন কনস্টেবল। পলাতক কনস্টেবলদের মধ্যে দুজন নারী সদস্য রয়েছেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সম্প্রতি এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, যারা এখন আর পুলিশ বাহিনীতে নেই, তারা এখন সন্ত্রাসী। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, পলাতক ও চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের অফিশিয়াল পাসপোর্ট বাতিলের প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে, যাতে তারা দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন। পাসপোর্ট অধিদপ্তর এরই মধ্যে পাসপোর্ট বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হত্যা মামলা হয়েছে ডিবির সাবেক প্রধান আলোচিত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে রাজধানীসহ নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৪৯টি হত্যা মামলা হয়েছে। মামলার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন। তার বিরুদ্ধে ৪১টি মামলা হয়েছে। তৃতীয় স্থানে ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তার বিরুদ্ধে ৩৭টি মামলা হয়েছে। মামলার মধ্যে বেশির ভাগই হত্যা মামলা। সব মিলিয়ে কর্মকর্তা, কনস্টেবলসহ অন্তত ১০২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তাদের মধ্যে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তারাও রয়েছেন। মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযানও চালাচ্ছে পুলিশ। তবে পলাতক থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সূত্র মতে, বেশির ভাগ পুলিশ কর্মকর্তাই বিদেশে পালিয়ে গেছেন। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই ভারতে পালিয়ে গেছেন। এ ছাড়া দুবাই ও আমেরিকায় পালিয়ে গেছেন কেউ কেউ।</span></span></span></span></span></p>