<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত একটি রিসোর্টে আওয়ামী লীগ ও সরকারি কর্মকর্তাদের প্রমোদভ্রমণ ও ভোজনের খরচ এক কোটি ২৪ লাখ ২৮ হাজার ৫১০ টাকা বকেয়া ছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে কিছুদিন বিরতির পর আগের স্টাইলে ফ্রিতে খেতে না পেরে কর্মচারীদের মারধর করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় সাতজন আহত হন। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জের নাগরী ইউনিয়নের জোড়া পাম্প এলাকায় কালব রিসোর্ট অ্যান্ড কনভেনশন হলে ঘটনাটি ঘটে। জানা যায়, দ্য কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠান ২০১৯ সালে রিসোর্টটি নির্মাণ করে। প্রতিষ্ঠানের শুরুতেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আরিফ হোসেন রিসোর্টে প্রভাব বিস্তার করেন। আরিফ হোসেন প্রতিষ্ঠানের সেক্রেটারিও হন কিছুদিনের জন্য। সেই থেকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সভা-সমাবেশের নেতাকর্মীদের এনে এই রিসোর্টে খাওয়াদাওয়া করান। মেহের আফরোজ চুমকি বহুবার এই রিসোর্টে রাত্রী যাপন করেছেন। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা এখানে রাত দিন থেকেছেন। যাঁরা বকেয়া রেখে খাওয়াদাওয়া করেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আরিফ হোসেন, সাবেক এমপি চুমকির এপিএস সেলিম ও নাগরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অলি, গাজীপুর জেলা সমবায় কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেনসহ আরো কয়েকজন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কালব রিসোর্টের দেওয়া তথ্যের মধ্যে আরিফ হোসেনের তত্ত্বাবধানে মোট এক কোটি ২৪ লাখ টাকা পরিশোধ হয়নি। বকেয়া তালিকার মধ্যে সিআইডি ঢাকা মেট্রো এক লাখ ১৮ হাজার, গাজীপুর জেলা সমবায় অফিসার সাদ্দাম হোসেন দুই লাখ ২৫ হাজার ১০৩ টাকা, সাবেক এমপি চুমকির পিএস সেলিম ১৭ হাজার ৫২৬ টাকা, মি. নিকুঞ্জ ছদ্মনামে আরিফের ব্যক্তিগত বকেয়া ২৬ লাখ ১৪ হাজার ১১৬ টাকা, কামতা গ্যাসফিল্ড ৯৮ হাজার ৪৩৫ টাকা, জানুয়ারি ২০২২ থেকে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত নামহীনভাবে বকেয়া ৭৭ লাখ ৫৫ হাজারসহ এক কোটি ২৪ লাখ ২৮ হাজার ৫১০ টাকা বকেয়া রয়েছে। ৪ নভেম্বর রাত ১১টায় হঠাৎ করে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা রিসোর্টে প্রবেশ করে রেস্টুরেন্টে খাবারের জন্য চাপ দেন। কিন্তু রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকার কথা বললে তাঁরা দুই দফা হামলা চালান। অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাঁদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি। জেলা সমবায় কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেনকে ঢাকা জেলায় বদলি করা হলেও তিনি গাজীপুরের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর মোবাইলে কল করলে রিসিভ করেননি। কালব রিসোর্টের সিইও রোমেল হিউবার্ট ক্রুশ বলেন, প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার জন্য থানায় জিডি করা হয়েছে। আসামিরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> কালীগঞ্জ থানার ওসি আলাউদ্দিন বলেন, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।</span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>