<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিলেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়) উপাচার্য এ এইচ এম এনায়েত হোসেন গত ৫ আগস্টের পর থেকে ক্যাম্পাসে আসেননি। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি ক্যাম্পাসে আসার পর চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে তাঁকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধের পর ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা পৌঁছালে উপাচার্য ১৫ দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট সভা করে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলে কর্মসূচি স্থগিত করেন আন্দোলনকারীরা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় আড়াই শ কর্মকর্তা-কর্মচারী দুই বছর ধরে বেতন-ভাতাবঞ্চিত। এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী অ্যাডহকে নিয়োগ পেলেও তাঁদের চাকরি স্থায়ীর উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। অ্যাডহকে নিয়োগের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অনেককে বিনা বেতনে দীর্ঘদিন ধরে কাজও করিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর বঞ্চিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণের আশ্বাস দেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী করতে পারেননি তিনি। এ অবস্থায় আন্দোলনে নামেন অ্যাডহকে চাকরির মেয়াদোত্তীর্ণরা। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আন্দোলন আরো জোরদার হয়। দীর্ঘদিন ধরে চাকরি স্থায়ী না হওয়ার জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপাচার্য এনায়েত হোসেন ও রেজিস্ট্রার এ কে এম ফজলুর রহমানকে দায়ী করেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গতকাল প্রথমবার ক্যাম্পাসে আসেন উপাচার্য। খবর পেয়ে ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্যাম্পাসে এসে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।</span></span></span></span></p>