<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অধস্তন আদালতে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি এবং সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগের নীতিমালা তৈরির এজেন্ডা ঠিক করেছে বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ দুই বিষয়ে কমিশন কাজ করবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান। গতকাল সোমবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে কমিশনের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈঠকের সিদ্ধান্ত তুলে ধরে কমিশনপ্রধান শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আজ ঠিক করেছি, এই কার্যক্রমকে কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়। এ জন্য এজেন্ডা প্রয়োজন। প্রায়োরিটি (অগ্রাধিকার) দিয়ে আমরা এজেন্ডা তৈরি করেছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই সাবেক বিচারপতি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের প্রথম এজেন্ডা হলো অধস্তন আদালত। সেখানে যে বিচারকাজ চলে, তাতে ত্রুটি-বিচ্যুতি দেখতে পাচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। অধস্তন আদালতে কিভাবে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করা যায়, সে জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, সেগুলো নিয়ে আজ আলোচনা করেছি। একই সঙ্গে হাইকোর্টে বিচারক নিয়োগের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমাদের ইচ্ছা আছে সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগে গাইডলাইন (নীতিমালা) তৈরি করে দেওয়ার। সেটি আমরা করব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিচারপ্রার্থীরা আদালতে এলে দিশাহারা হয়ে যান। ফৌজদারি মামলা যাঁরা করেন বা জড়িয়ে পড়েন, তাঁরা মামলার খরচ কুলিয়ে উঠতে পারেন না। এ বিষয়ে বিচারপ্রার্থীদের কিভাবে রিলিফ (পরিত্রাণ) দেওয়া যায়, তা পর্যালোচনা করেছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মোমিনুর রহমান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের কাজ সুপারিশ করা, আইন তৈরি করা নয়। আমরা সুপারিশ দেব</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপদেষ্টা পরিষদ তা বিচার-বিবেচনা করবে, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈঠকের কার্যপরিধি তুলে ধরার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন কমিশনপ্রধান। ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়া সম্ভব কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আপনারাই একটু বিবেচনা করে বলুন, এটা কি সম্ভব? গেজেটে পরিষ্কারভাবে বলে দেওয়া হেয়েছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৯০ দিনের মধ্যে করতে হবে। পরে সরকার যদি মনে করে সময় বাড়ানো দরকার, তখন দেখা যাবে। বিচার বিভাগীয় সংস্কার করতে হলে অল্প সময় দিয়ে করা যাবে না। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কারপ্রক্রিয়া শুরু হলে একেকটা সমস্যা আসবে, সেগুলো মোকাবেলা করতে হবে। এটি (সংস্কারপ্রক্রিয়া) চলতে দেওয়া উচিত।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিচারক নিয়োগের নীতিমালা করার কথা বলছেন, এর মধ্যে হাইকোর্টে ২৩ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, এটা কি সরকারের স্ববিরোধী আচরণ নয়? এর জবাবে মোমিনুর রহমান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কর্তৃপক্ষের কার্যক্রমে কি আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারি? হস্তক্ষেপের ক্ষমতা আছে আমাদের? পত্রিকায় বিষয়টি দেখেছি। তবে বিচারক নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন ছিল। হাইকোর্টে বিচারকের সংখ্যা কম।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>