<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা নগরের নানুয়ার দিঘিরপারে অস্থায়ী দুর্গাপূজা মণ্ডপে পবিত্র কোরআন মাজিদ উদ্ধারের পর সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জেলার বিভিন্ন থানায় একটি হত্যাসহ মোট ১২টি মামলা হয়। ১১টি মামলায় ২৫৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আর একটি মামলার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দেওয়া হয়েছিল চূড়ান্ত প্রতিবেদন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঘটনার তিন বছর পর হলেও এসব মামলার একটিরও বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। কুমিল্লা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা বলছেন, দীর্ঘদিনেও আলোচিত এই ঘটনার একটি মামলারও বিচার প্রক্রিয়া শুরু না হওয়া দুঃখজনক।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জেলা পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআই কুমিল্লা কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন মাজিদ অবমাননার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় কোতোয়ালি মডেল থানায় আটটি, সদর দক্ষিণ মডেল থানায় দুটি এবং দেবীদ্বার ও দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি করে মামলা হয়। ১২টি মামলার মধ্যে ছয়টি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি কুমিল্লা। অন্য ছয়টির মধ্যে পিবিআই, কুমিল্লা তদন্তের দায়িত্ব পায় চারটি এবং কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ দুুটি মামলার তদন্ত করে। এর মধ্যে দেবীদ্বার উপজেলার বিহারমণ্ডল গ্রামে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় ওই গ্রামের নারায়ণ পাল নামের এক ব্যক্তির করা মামলাটি তদন্তে প্রমাণিত না হওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পিবিআই, কুমিল্লা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২২ ও ২০২৩ সালের মধ্যে অন্য ১১টি মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। ১১ মামলায় মোট আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে ২৫৫ জনকে। এদের অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছিল। তবে বর্তমানে নানুয়ার দিঘির পারের পূজামণ্ডপে কোরআন রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন ছাড়া বাকি সব আসামি জামিনে মুক্ত রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানতে চাইলে সিআইডি, কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের হাতে এখন আর কোনো মামলা নেই ওই ঘটনার। আমি এখানে যোগদানের আগেই সব মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p>