<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তির ১৫ ঘণ্টার মাথায় রিফা আকতার (৩০) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা নারী মারা গেছেন। গত রবিবার বিকেলে মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে মৃত সন্তান প্রসব করেন রিফা। রিফাসহ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত মাসে চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত ৯ মাসে মোট (১৬ জন) মৃত্যুর ৬৯ শতাংশ (১১ জন)। শুধু মৃত্যু নয়, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর ক্ষেত্রে রেকর্ড হয়েছে গত মাসে। চলতি বছর মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের ৬০ শতাংশই সেপ্টেম্বর মাসে। অর্থাৎ চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর হিসাবে সেপ্টেম্বর মাস ছিল </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভয়ংকর</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রিফা আকতারের চাচা শাহ আলম গতকাল বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রিফার পাশাপাশি তাঁর পরিবারের আরো কয়েকজন সদস্য ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেও অন্যরা সুস্থ হয়েছেন। তবে আমার বড় ভাবি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে আজ (গতকাল) রিফার চার বছরের মেয়ে নাদিয়ারও জ্বর উঠেছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ডেঙ্গুর তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা যায়, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যু কিছুটা কম। তবে আগের দুই বছর অর্থাৎ ২০২১ ও ২০২২ সালের তুলনায় অনেক বেশি। এদিকে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের মধ্যে বেশির ভাগ পুরুষ হলেও মৃত্যুর সংখ্যায় নারী-শিশু বেশি। গত ৯ মাসে চট্টগ্রামে আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ৫০৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮১৭ জন (৫৪.২৯ শতাংশ), নারী ৪০৯ জন (২৭.১৮ শতাংশ) এবং শিশু ২৭৯ জন (১৮.৫৪ শতাংশ)।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ওই নারীর মৃত্যুসহ চলতি বছর এ পর্যন্ত ১৬ জন মারা গেছে। তাদের মধ্যে পুরুষ চার (২৫ শতাংশ), নারী ১০ (৬২.৫ শতাংশ) ও শিশু দুই (১২.৫ শতাংশ)। তাদের মধ্যে নারী ও শিশু মৃত্যুহার ৭৫ শতাংশ। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গতকাল বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত বেড়ে গেছে। এটা উদ্বেগের বিষয়। আক্রান্ত ও মৃত্যু বেড়েছে। চিকিৎসাসেবায় কোনো ত্রুটি নেই। কিন্তু ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমরা গণসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বেশি মৃত্যুর বিষয়ে তিনি বলেন, দেখা যাচ্ছে, ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার অনেকটা শেষ দিকে হাসপাতালে আনা হচ্ছে চিকিৎসার জন্য।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সৌমেন সরকার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত এক মাসে জ্বর নিয়ে যেসব রোগী এসেছে, পরীক্ষা করে দেখা গেছে তাদের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশই ডেঙ্গু আক্রান্ত। আক্রান্তের পর প্রথমদিকে যারা হাসপাতালে আসছে, তাদের মধ্যে মৃত্যু খুব একটা নেই। ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে সবাইকে হাসপাতালে আসতে হবে তা-ও না। চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। নিজেদের ইচ্ছামতো  (রোগী) অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করা যাবে না। সেই সঙ্গে ব্যথানাশক ওষুধও খাওয়া যাবে না।</span></span></span></span></p>