<p>বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার আবার ভ্রমণপিপাসুদের পদচারণে মুখরিত হয়ে উঠেছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঢল নেমেছে পর্যটকের। দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসছে পর্যটকরা। আকাশপথে, ট্রেনে ও সড়কপথেও আসছে পর্যটকের দল। সবারই যেন গন্তব্য কক্সবাজার সৈকত।</p> <p>কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এমনিতেই পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে যায়। কিন্তু জুলাই-আগস্টে দেশের পটপরিবর্তনের কারণে পর্যটন ব্যবসা স্থবির হয়ে পড়েছিল। এবারের বর্ষা মৌসুমটি গেছে ভারি বর্ষণের মধ্য দিয়ে। গত দুই সপ্তাহের টানা ভারি বর্ষণসহ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণেও পর্যটকদের সময় গেছে অত্যন্ত নিরানন্দে। এ সময়ে পর্যটকের তেমন ভিড় ছিল না। যারা এসেছিল তারাও ফিরেছে অনেকটা অতৃপ্তি নিয়ে।</p> <p>এসব কারণে দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসায় এবার বেশ মন্দা গেলেও সাপ্তাহিক দুই দিনের ছুটির প্রথম দিনে গতকাল পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। সৈকতে গতকাল সকালে এক রকম দৃশ্য দেখা গেলেও বিকেলে হয়ে গেছে আরেক রকম। হাজার হাজার পর্যটকের পদচারণে উৎসবের মিলনমেলায় পরিণত হয়ে পড়ে এই দীর্ঘতম সৈকত। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভ্রমণকারীরা মনের মতো করে সাগর উপভোগে নিমগ্ন হয়ে পড়ে।</p> <p>রাজধানী ঢাকার শান্তিনগর বাজার রোড এলাকার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জিয়াউল হক বৃদ্ধ মা-বাবাসহ পরিবারের ১০ সদস্য নিয়ে বেড়াতে এসেছেন কক্সবাজার সৈকতে। তিনি উঠেছেন মেরিন ড্রাইভের ইনানী সৈকত এলাকার সাগরলতা নামের একটি রিসোর্টে। কক্সবাজারের শহরকেন্দ্রিক সৈকতের হৈ-হুল্লোড় বাদ দিয়ে নির্জন ইনানী সৈকতের মজাই অন্য রকমের, মন্তব্য জিয়াউলের। কক্সবাজার সাগরপারের হোটেল মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালের মহাব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেন গতকাল সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আবহাওয়া ভালো থাকায় আজ (গতকাল শুক্রবার) প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। আমার হোটেলের ২৮টি কক্ষ দু-তিন দিনের জন্য ভাড়া হয়ে গেছে। আরো অনেকেই আসবে শনিবার (আজ)।’</p> <p>পর্যটকের আনাগোনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সৈকতে নিরাপত্তাব্যবস্থাও জোরদার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ছাড়াও জেলা পুলিশ। সেই সঙ্গে সৈকতে তৎপরতাও বাড়িয়েছে উদ্ধারকারী সি সেভ লাইফগার্ড কর্তৃপক্ষ। সি সেভ লাইফগার্ডের উদ্ধারকারী দলের সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কক্সবাজার সৈকতের তিনটি পয়েন্টে ৯ জন করে ২৭ জন উদ্ধারকারী সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিয়োজিত রয়েছে পর্যটকদের সেবায়।’ তিনি জানান, বর্ষা মৌসুম এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। এ কারণে সাগরের পানি এখনো উত্তাল।</p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>