<p>পার্বত্য চট্টগ্রামকে খ্রিস্টান অধ্যুষিত রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতারা। তাঁরা বলছেন, বর্তমানে কিছু উপজাতি নেতার নেতৃত্বে পার্বত্য শাসনবিধি-১৯০০ আইন বহাল রাখার আন্দোলন চলছে, যা পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারণ জনগণকে শোষণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সব সম্প্রদায়ের ও জাতিগোষ্ঠীর সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি-১৯০০ বাতিল করতে হবে।</p> <p>গতকাল বুধবার ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমান বলেন, বৈষম্যের কারণে পিছিয়ে যাচ্ছে পার্বত্য অঞ্চলের বাঙালি পরিবারগুলো। সেখানে উপজাতি পরিবারগুলো রাষ্ট্রীয় যেসব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে, বাঙালিরা তা পাচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৯০০ সালের শাসনবিধি আইন বলবৎ রেখে এই অঞ্চলে বাংলাদেশের সংবিধানের শাসন খর্ব করা হয়েছে। এ কারণে এই অঞ্চলে বসবাসরত বাঙালি জনগোষ্ঠী অধিকারবঞ্চিত রয়েছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।</p> <p>চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে তিন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত। এ ক্ষেত্রে আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছি, এটি উন্মুক্ত করে সারা দেশের মতো ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন করা বা একজন চেয়ারম্যানের সমপরিমাণ ক্ষমতা দিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান বাঙালিদের মধ্য থেকে মনোনয়ন দেওয়া হোক।</p> <p> </p>