<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজশাহী কলেজে নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ ড. আনারুল হককে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে কলেজটির প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে চাটুকারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন। এ সময় ওই অধ্যক্ষকে কলেজ ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন তাঁরা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অধ্যাপক ড. আনারুল হককে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন করা হয়। এর আগে তিনি রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ছিলেন। শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হওয়ার আগে তিনি প্রতিষ্ঠানটির সচিব পদে নিযুক্ত ছিলেন। সেখান থেকে দুর্নীতির দায়ে পদ অবনমিত করে তাঁকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক করা হয়েছিল। সচিব হওয়ার আগে তিনি শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ছিলেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আট বছর ধরে এভাবে বিভিন্ন পদে থেকে আনারুল হক কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তিনটি মামলা করে। শিক্ষা বোর্ডের রাস্তা সংস্কারসহ নানা ধরনের কেনাকাটায় ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিতও হয়েছিল। সেই টাকা শিক্ষা বোর্ডের ফান্ডে জমা দিয়ে রেহাই পেয়েছিলেন তিনি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঐতিহ্যবাহী রাজশাহী কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন দেওয়া হয়েছে ড. আনারুল হককে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলটির এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্যই দলের সুপারিশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পদ বাগিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক থেকে শুরু করে রাজশাহীর শহীদ বুদ্ধিজীবী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের পদও দখল করেন তিনি। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বোর্ডের ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২০২০ সালে তিনটি মামলা করে দুদক। আত্মসাতের সমপরিমাণ টাকা বোর্ডের ফান্ডে জমা দেওয়ার মাধ্যমে তিনি মামলা থেকে অব্যাহতি পান। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিক্ষার্থীরা বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা আমাদের প্রাণের ক্যাম্পাস রাজশাহী কলেজে এই বিতর্কিত শিক্ষককে অধ্যক্ষ হিসেবে চাই না। অবিলম্বে তাঁকে অন্যত্র পাঠিয়ে শিক্ষার্থীবান্ধব, সৎ ও যোগ্য কাউকে অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়নের দাবি জানাই। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ ড. আনারুল হক বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরকার আমাকে এ পদে বসিয়েছেন। সরকার চাইলে আমার আদেশ বাতিল করতে পারেন। এখানে আমার কিছু বলার নেই। আমি কখনো কোনো দুর্নীতি করিনি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p> </p>