<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকেই জামালপুরে বাস, ট্রাক, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ পরিবহন খাত নিয়ন্ত্রণ করতেন দলীয় নেতাকর্মীরা। সরকার পতনের পর থেকে সেটা হাতবদল হয়ে এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে। পরিবহন খাত ছাড়াও জেলা শহরের ব্রহ্মপুত্র নদের বালুর ঘাটে চাঁদাবাজি, দখল, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে জেলা বিএনপির কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ১৬ বছর ধরে শহরের বাইপাস মোড় এলাকার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের নিয়ন্ত্রণ ছিল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে। তাঁদের চাঁদাবাজি ও অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল বাস মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়ন। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের দুঃশাসন থেকে মুক্তি পাওয়ায় অনেকটাই স্বস্তি কাজ করছিল বাস মালিক ও সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে। কিন্তু ৫ তারিখ দুপুরের কয়েক ঘণ্টা পর বাস টার্মিনালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাস মালিকরা জানান, টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড নামে পরিচিত এই স্ট্যান্ড থেকে ১১০ থেকে ১২০টি বাস রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ৯টি জেলায় নিয়মিত চলাচল করে। এর মধ্যে লোকাল রয়েছে ৯০টি। বাকিগুলো কাউন্টারভিত্তিক সিটিং সার্ভিস। ৮ আগস্ট সকাল থেকে লোকাল বাস চললেও কাউন্টারভিত্তিক বাস চলাচল পুরোদমে শুরু হয় ১১ আগস্ট রাত ও ১২ আগস্ট সকাল থেকে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বাস মালিক জানান, বাস চলাচল শুরুর পর থেকেই আওয়ামী লীগের মতো চাঁদাবাজি শুরু করেন বিএনপির নেতারা। ১২ আগস্ট থেকে সব মিলিয়ে দৈনিক ১৫ হাজার টাকা চাঁদা তোলা হয় জিপির নামে। এই টাকা ভাগাভাগি করে নেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন, ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শুভসহ স্থানীয় বিএনপি নেতারা। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাস মালিকরা আরো জানান, গত ২২ আগস্ট জামালপুর জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির নতুন কমিটি ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুন। নতুন কমিটিতে ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শুভকে সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতি করা হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম জার্নিসকে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বাস মালিক বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যে সরকারই আসুক বাসস্ট্যান্ডে সব সময় জিপির নামে চাঁদাবাজি করেন দলীয় নেতাকর্মীরা। শেখ হাসিনার পতনের পর আমরা ভেবেছিলাম যে এই জিপির হাত থেকে আমরা রক্ষা পাব। কিন্তু পরে দেখি যে আওয়ামী লীগ যা করেছে, এখন বিএনপি তাই করছে। তাহলে পার্থক্য কী হলো? বিএনপিও চাঁদাবাজ, আওয়ামী লীগও চাঁদাবাজ।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ ছাড়া জামালপুর শহরসহ জেলাজুড়ে সিএনজিচালিত</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> অটোরিকশার স্ট্যান্ডগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। কয়েকটি সিএনজি অটো স্ট্যান্ডে আওয়ামী লীগের মতো বিএনপি নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে সদরের শরিফপুর ইউনিয়নে বালুর ঘাট রয়েছে চারটি। বর্তমানে প্রতিটি ঘাট থেকে দৈনিক ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা টোল উত্তোলন করা হচ্ছে। এর অর্ধেক নিচ্ছেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান হামিদী ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল, বাকি অর্ধেক নিচ্ছেন ঘাটের ইজারাদার অসীম কুমার বসাক (রনি)।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">স্থানীয়রা জানায়, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় নেতাকর্মীদের কোনো ধরনের হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ না করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ অমান্য করে এসব ঘটনায় যাঁরা জড়িত হয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ বিষয়ে জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দখলের অভিযোগটি সঠিক নয়। যারা টোল আদায়ের দায়িত্বে ছিল, তাদের সঙ্গে সমন্বয় করেই টোল আদায় করা হচ্ছে। আর আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে থাকায় টার্মিনাল পরিচালনা ব্যাহত হচ্ছে। তাই সেখানে বিএনপির নেতারা বাস চলাচলের জন্য টার্মিনালটি পরিচালনা করছেন।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p> </p>