<p>বাজারে নতুন মোড়কে বোতল না আসায় সয়াবিন তেল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। আগে সরবরাহ করা বোতল শেষ হওয়ার পর বর্ধিত নতুন দামে পাওয়া যাবে এই ভোজ্য তেল। ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন মোড়কের বোতল আসতে অন্তত সপ্তাহখানেক লাগতে পারে। কারণ আগের তেল এখনো বাজারে রয়ে গেছে। তবে খোলা সয়াবিন তেল ঘোষিত কম দামে বিক্রি হচ্ছে না। অর্থাৎ বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে।</p> <p>গতকাল শুক্রবার রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজার, গুলশান ও ভাটারা এলাকার কিছু খুচরা ও পাইকারি দোকানে গিয়ে এমনটাই দেখা গেছে। গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে চার টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেন। এতে এক লিটার বোতলজাত তেল ১৬৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর পাঁচ লিটারের বোতল ৮০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮১৮ টাকা করা হয়। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন তেল লিটারে দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা দাম নির্ধারণ করেন মন্ত্রী। একই দিন সুপার পাম তেলের দাম প্রতি লিটার সর্বোচ্চ ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।</p> <p>বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন গত মঙ্গলবার বাণিজ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের মূল্য ১০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল। তখন প্রতিমন্ত্রী দাম বাড়ানোর সুযোগ না থাকার কথা বলেছিলেন। তবে সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে চার টাকা বাড়িয়ে দাম ঘোষণা করেন প্রতিমন্ত্রী। এর আগে মিল মালিকরা সয়াবিন তেলের দাম ধাপে ধাপে কমিয়ে লিটার ১৬৩ টাকায় নামিয়ে এনেছিলেন।</p> <p>কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় পাইকারি দামে বিক্রি হয় ভোজ্য তেল। মার্কেটের মেসার্স বেঙ্গল অয়েল স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. মহিউদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, খোলা সুপার পাম তেল বিক্রি করছি ১৩৫ টাকা লিটার। আর খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার পাইকারি বিক্রি করছি ১৪৭-১৪৮ টাকা লিটার। তিনি বলেন, সবেমাত্র খোলা তেলের দাম কমেছে, এটা বাজারে আসতে একটু সময় লাগবে।</p> <p>একই বাজারে আনোয়ার জেনারেল স্টোরের মালিক মো. আনোয়ার বোতলজাত করা সয়াবিন তেল পাইকারি বিক্রি করেন। তাঁর দোকানে এক লিটারের বোতল নেই। দোকান ভর্তি পাঁচ লিটারের বোতল। গায়ের দাম ৮০০ টাকা। আর সরকার নির্ধারিত দাম ৮১৮ টাকা। কিন্তু তিনি বোতলের গায়ের দামেই তেল বিক্রি করছেন। মো. আনোয়ার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঈদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এখনো তেলের চাহিদা বাড়েনি। মার্কেটে ক্রেতা কম আসছে। ফলে তেলের চাহিদা কম। এ জন্য আগের বোতল বিক্রি শেষ হয়নি। এগুলো শেষ হওয়ার পর নতুন বোতল এলে বাড়তি দাম লেখা থাকবে। তখন আমরা সে দামেই বিক্রি করব। তবে এটা যদি ঈদের আগে বাড়ানো হতো তাহলে গায়ের মূল্যে পাওয়া যেত না।’</p> <p>ভাটারা এলাকার ছায়েদ আলী সুপারমার্কেটের আলেয়া জেনারেল স্টোরের বিক্রয়কর্মী মো. মুন্না মিয়া বলেন, ‘এক লিটারের বোতলের তেল আগের দামেই, ১৬৩ টাকায় বিক্রি করছি। আর খোলা তেল ১৪৯-১৫০ টাকায় বিক্রি করছি। খোলা তেল এগুলো আগের স্টক। এখনো শেষ হয়নি। নতুন দামের তেল এলে কমিয়ে বিক্রি করব।’ গুলশানের কালাচাঁদপুরের আকাশ জেনারেল স্টোরে খোলা তেল ১৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন বলে বিক্রেতা জানিয়েছেন।</p>