<p style="margin-bottom:13px"><span style="font-size:11pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্বে প্রতি দেড় সেকেন্ডে একজন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। বাংলাদেশে প্রতিবছর পাঁচ লাখ ৭২ হাজার ৬০০ জন মানুষ অসংক্রামক রোগে মারা যায়। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।</span></span></span></span></span></span></p> <p style="margin-bottom:13px"><span style="font-size:11pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বক্তারা এসব তথ্য তুলে ধরেন। বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাও বের করা হয়েছে। </span></span></span></span></span></span></p> <p style="margin-bottom:13px"><span style="font-size:11pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রতিবছর ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্বের অন্যান্য দেশে মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ব হার্ট দিবস পালিত হয়। এবার হার্ট দিবসের প্রতিপ্রাদ্য ছিল </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভালোবাসা দিয়ে প্রতিটি হৃদয়ের যত্ন নিন</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:SolaimanLipi">। বিএসএমএমইউতে দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বৈজ্ঞানিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। </span></span></span></span></span></span></p> <p style="margin-bottom:13px"><span style="font-size:11pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:SolaimanLipi">সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় শিশু হৃদরোগের চিকিৎসা ও প্রতিরোধে কাজ করছে। শিশু হৃদরোগ বিভাগে সাত শতাধিক শিশুর হৃদরোগের অপারেশন করা হয়েছে। শিশুরা যাতে হৃদরোগে না ভোগে, তারা যাতে ত্রুটি নিয়ে জন্মগ্রহণ না করে, সে জন্য মাতৃগর্ভে থাকতেই তা স্ক্রিনিং করে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে।</span></span></span></span></span></span></p> <p style="margin-bottom:13px"><span style="font-size:11pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:SolaimanLipi">বক্তারা সবাই হৃদরোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধের দিকে অধিক গুরুত্বারোপ করেন। এ জন্য নিয়মিত ৩০ মিনিট হাঁটার পরামর্শ দেন তাঁরা। এ ছাড়া নিয়মিত ঘুম, লবণ না খাওয়া, স্ট্রেসে না থাকা এবং ধূমপান না করার পরামর্শ দেন। এতে হৃদরোগ প্রতিরোধ সম্ভব বলে মনে করেন তাঁরা। </span></span></span></span></span></span></p> <p style="margin-bottom:13px"><span style="font-size:11pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর আগে গত শুক্রবার হার্ট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন সেমিনারে বক্তারা বলেন, দেশে গত দুই দশকে হৃদরোগের চিকিৎসায় সক্ষমতা বাড়লেও নবজাতকদের ওপেন হার্ট সার্জারি এখনো বিদেশনির্ভর। সরকারি হাসপাতালে এক বছরের নিচের শিশুদের সার্জারি করার মতো সুযোগ-সুবিধা তেমন নেই। বেসরকারিতে দু-একটি হাসপাতালে এই সুবিধা থাকলেও অর্থের অভাবে চিকিৎসার বাইরে থাকছে বেশির ভাগ রোগী। </span></span></span></span></span></span></p> <p style="margin-bottom:13px"><span style="font-size:11pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:SolaimanLipi">জন্মগত হৃদরোগ সমস্যা নিয়ে গত শুক্রবার রাতে এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. নুরুন্নাহার ফাতেমা বলেন, দেশে প্রতি হাজারে আটটি শিশু জন্মগত হৃদরোগ নিয়ে জন্ম নিচ্ছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই চিকিৎসার অভাবে মারা যায়। অনেক রোগী গ্রামে থাকে, যারা উন্নত চিকিৎসার জন্য শহরে আসতে পারে না। আবার যাদের অবস্থা একেবারে খারাপ, তারা হাসপাতালে আসার আগেই মারা যাচ্ছে। </span></span></span></span></span></span></p> <p style="margin-bottom:13px"><span style="font-size:11pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, নবজাতকদের ওপেন হার্ট সার্জারি এখনো বিদেশনির্ভর। বেসরকারি দু-একটি প্রতিষ্ঠানে থাকলেও সরকারি হাসপাতালে এক বছরের নিচের শিশুদের সার্জারি করার মতো সুযোগ-সুবিধা তেমন নেই। নবজাতকদের ওপেন হার্ট সার্জারির সুযোগ এখনো খুব সীমিত।</span></span></span></span></span></span></p> <p style="margin-bottom:13px"><span style="font-size:11pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:SolaimanLipi">অধ্যাপক ডা. নুরুন্নাহার ফাতেমা বলেন, বর্তমানে ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে। কিন্তু ২০ থেকে ২৫ শতাংশ রোগী এখনো চিকিৎসার বাইরে।</span></span></span></span></span></span></p> <p style="margin-bottom:13px"><span style="font-size:11pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে গত শুক্রবার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও পথসভা করেছে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠানটির মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী) বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:SolaimanLipi">হৃদরোগ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানানো, এর ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রতিবছর আমরা এই আয়োজন করে থাকি।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></span></p> <p style="margin-bottom:13px"><span style="font-size:11pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্বে প্রতিবছর দুই কোটি ৫০ লাখ মানুষ হৃদরোগ, স্ট্রোক ও হার্ট ফেইলিওরে মারা যায়। অথচ আমরা জীবনাচরণে কিছু পরিবর্তন আনলে এই মারণব্যাধি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।</span></span></span></span></span></span></p>