<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অর্থনেতিক সংকটের এই সময়ে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। অপ্রয়োজনীয় খরচ কমাতে সরকারের প্রধান টার্গেট উন্নয়ন বাজেট কাটছাঁট। এবার একটু আগেভাগেই বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) সংশোধনের কাজ শুরু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, এবার উন্নয়ন বাজেট থেকে এক লাখ কোটি টাকা কমানো হতে পারে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এরই মধ্যে আরএডিপির কাজ শুরু করেছে। প্রথমেই বিদেশি সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পগুলোর বরাদ্দ কমানো হচ্ছে। আগামী মাসে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ইআরডির কর্মকর্তারা। এডিপিতে নেওয়া বিদেশি সহায়তাপুষ্ট নতুন প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে ইআরডি কঠোর হচ্ছে বলে জানা গেছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গত সপ্তাহে ৫৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব ও প্রধানদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে ইআরডি। তাতে বলা হয়েছে, প্রশাসনিক অনুমোদন ছাড়া কোনো নতুন প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করা যাবে না। কোনো প্রকল্পের মেয়াদ বা খরচ বৃদ্ধির প্রয়োজন হলে সরকারি আদেশের কপি পাঠাতে হবে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম চার মাস জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের ভিত্তিতে সংশোধিত এডিপির বরাদ্দ ঠিক করা হবে। তাঁরা জানান, আগামী মাসে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক করা হবে। সেখানে বিদেশি সহায়তার বরাদ্দ চূড়ান্ত করা হবে। অন্যান্য বছর বিদেশি সহায়তার বরাদ্দ সাধারণত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির দিকে চূড়ান্ত করা হতো।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার দুই লাখ ৭৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা। এতে এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা স্থানীয় উৎস থেকে দেওয়া হচ্ছে। আর এক লাখ কোটি টাকা পাওয়া যাবে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে। বাকি অর্থ স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলো নিজেদের প্রকল্পে যে অর্থায়ন করছে, তা থেকে জোগান দেওয়া হবে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বর্তমান এডিপিতে সব মিলিয়ে এক হাজার ৩৫২টি প্রকল্প আছে। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে অপ্রয়োজনীয় ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নেওয়া প্রকল্পগুলো বাদ বা সেগুলোতে বরাদ্দ কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। একই সঙ্গে সরকার বিদেশি সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পের গতি বাড়ানোর চিন্তা করছে। তাই সংশোধিত এডিপিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে বলে জানান পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তাঁদের মতে, ১০০-এর মতো প্রকল্প বাদ যেতে পারে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এদিকে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থছাড় কমিয়ে দিয়েছে। চলতি অর্থবছরে গত ছয় অর্থবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অর্থছাড় হয়েছে। চলতি অর্থবছরের এডিপি থেকে সরকার বড় ধরনের কাটছাঁট করতে চায়, তারই প্রভাব এডিপি বাস্তবায়নে পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, রাজনৈতিক বা প্রশ্নবিদ্ধ প্রকল্পগুলো পুনরায় বিবেচনা করা উচিত। কারণ সরকার আর্থিক সংকটে আছে, রাজস্ব আদায়েও ঘাটতি রয়েছে। সরকারকে ব্যয় কমাতে হবে। ব্যয় কমানোর বড় জায়গা এডিপি। প্রকল্পের গুরুত্ব বিবেচনায় বরাদ্দ দিতে হবে। কারণ এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন অনেক এগিয়েছে। যেসব মেগাপ্রকল্পের অগ্রগতি ভালো সেগুলো শেষ করা ভালো হবে। তবে যেসব মেগাপ্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি বা প্রাথমিক ধাপে আছে সেগুলো বাদ দেওয়া ভালো হবে।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>