<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হারানো দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেতে চোখের কর্নিয়ায় স্টেমসেল ট্রিটমেন্টের সফল পরীক্ষা চালিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকরা। প্রাথমিকভাবে চার ব্যক্তির চোখে এই ট্রিটমেন্ট প্রয়োগ করে সফলতা পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের ইউএস ন্যাশনাল আই ইনস্টিটিউটের স্টেমসেল গবেষক কপিল ভারতী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই পরীক্ষণের পর চোখের দৃষ্টিশক্তির উন্নয়ন বেশ আশাব্যঞ্জক দেখতে পেলাম।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> অন্যদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার স্ক্রিপস রিসার্চ প্রতিষ্ঠানের স্টেমসেল গবেষক জেনি লোরিং মনে করেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিষয়টি সম্পর্কে শতভাগ নিশ্চিত হতে আরো পরীক্ষা দরকার।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চোখের কর্নিয়ার সবচেয়ে বাইরের অংশে আইরিসের চারদিকে যে ধূসর চাকতি রয়েছে, সেখানেই এই স্টেমসেল বেড়ে ওঠার সুযোগ তৈরি করেন গবেষকরা। উল্লেখ্য, চোখের এই স্তরটির যখন নবজীবন লাভের পথ ক্ষয়ে যায়, তখন এটাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় লিম্বাল স্টেমসেল ডিফিসিয়েন্সি (এলএসসিডি)। এই অবস্থায় কর্নিয়ার ওপর টিস্যুর আবরণ পড়ে যায়, যা মানুষকে অন্ধত্বের দিকে টেনে নেয়। চোখে বড় ধরনের আঘাত অথবা প্রচণ্ড মনোকষ্টের কারণে অথবা অটোইমিউন বা অনাক্রম রোগের পাশাপাশি জেনেটিক রোগের কারণেও কর্নিয়ায় সমস্যা দেখা দিতে পারে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গবেষকরা বলেন, সুস্থ ব্যক্তির চোখ থেকে স্টেমসেল নিয়ে তা অসুস্থ ব্যক্তির চোখে বিশেষ প্রক্রিয়ায় প্রতিস্থাপন করা হয়। তবে এই পদ্ধতিটি শতভাগ সঠিক পথেই এগিয়ে যাবে কি না, সেটা নিশ্চিতভাবে জানার সুযোগ এখনো তৈরি সম্ভব হয়নি। যখন কোনো ব্যক্তির দুটি চোখের কর্নিয়াই ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখনই এই এলএসসিডি ট্রিটমেন্ট অনুমোদন করা হয়। কিন্তু রোগীর ইমিউন সিস্টেমের সঙ্গে তা খাপ না খেলে ফল ইতিবাচক হয় না। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অবশ্য কর্নিয়া ট্রান্সপ্লান্টের ভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করছেন জাপানের চিকিৎসকরা। তাঁদের পদ্ধতির নাম ইনডিউসড প্লুরিপটেন্ট স্টেম (আইপিএস)। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মার্কিন গবেষকরা ২০১৯ সালের জুন থেকে ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত মোট চারজন রোগীর দুই চোখে এলএসসিডি ট্রিটমেন্ট দেন। রোগীদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও দুজন নারী। তাঁদের বয়স ৩৯ থেকে ৭২ এর মধ্যে। তাঁরা এখন চোখে দেখতে পাচ্ছেন। তবে কিছুটা সাইড ইফেক্টও দেখা যাচ্ছে। সূত্র : খালিজ টাইমস</span></span></span></span></p>