<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চাঁদের প্রাচীনতম গর্তগুলোর মধ্যে একটিতে নেমেছে ভারতের চন্দ্রযান-৩। রোভার প্রজ্ঞানের ক্যামেরায় তোলা ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, চাঁদের যে অংশে ভারতের মহাকাশযান পৌঁছেছে, সেখানে এর আগে কেউ কখনো পৌঁছতে পারেনি। আনুমানিক ৩৮৫ কোটি বছর আগের গর্তে পা রেখেছে চন্দ্রযান-৩।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইসরোর ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা চন্দ্রযান-৩-এর ক্যামেরায় তোলা ছবিগুলো বিশ্লেষণ করেছেন। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে তাঁরা জানিয়েছেন, চাঁদে যে গর্তে চন্দ্রযান-৩ নেমেছে, যেখানে এখনো রয়েছে  রোভার প্রজ্ঞান, সেই গর্ত নেকটারিয়ান যুগে তৈরি হয়েছে। প্রায় ৪০০ কোটি বছর আগে সে যুগের অস্তিত্ব ছিল। চাঁদের এই প্রাচীনতম অংশে এর আগে পৃথিবী থেকে কোনো অভিযান সফল হয়নি বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরির প্ল্যানেটারি সায়েন্স ডিভিশনের সহকারী অধ্যাপক এস বিজয়ন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চন্দ্রযান-৩ যেখানে নেমেছে, তার অনন্য ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আগে কখনো সেখানে কোনো অভিযান হয়নি। রোভার প্রজ্ঞানের ক্যামেরায় তোলা ছবিগুলোই বলে দিচ্ছে, গর্তটি কতটা পুরনো। ওই ছবি থেকে চাঁদের বিবর্তন সম্পর্কেও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বস্তুত মহাকাশে কোনো গ্রহ বা উপগ্রহের পৃষ্ঠে গ্রহাণুর ধাক্কায় সৃষ্টি হওয়া গর্তকে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক্রেটার</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বলা হয়। তেমনই একটি </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক্রেটারে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নেমেছিল চন্দ্রযান-৩। গর্তটি প্রায় ১৬০ কিলোমিটার বিস্তৃত। ওই গর্ত অর্ধবৃত্তাকার বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২৩ সালের আগস্ট মাসে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সফট ল্যান্ডিং</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> (পাখির পালকের মতো অবতরণ) করেছিল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তৈরি চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম। তার পেট থেকে বেরিয়েছিল রোভার প্রজ্ঞান। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চাঁদের মাটিতে রোভারটি ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে। পরে চাঁদে সূর্য ডুবে গেলে চন্দ্রযান-৩-এর শক্তিও শেষ হয়ে যায়। এখনো চাঁদের মাটিতেই নিষ্ক্রিয়ভাবে পড়ে রয়েছে ওই ল্যান্ডার ও রোভার। তবে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঘুমিয়ে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> পড়ার আগে রোভারের ক্যামেরায় চাঁদের অদেখা অংশের নানা ছবি উঠেছে। এখনো সেগুলো নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এর আগে পৃথিবীর আর কোনো দেশ পৌঁছতে পারেনি। সূত্র : এনডিটিভি</span></span></span></span></p>