<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ইলিশ মাছ পাঠানো হবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এবারের দুর্গোৎসবে বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ অন্য নাগরিকরা যেন ইলিশ খেতে পারে, সেটি নিশ্চিত করা হবে। ভারতের চেয়ে দেশের জনগণকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল শুক্রবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। ফরিদা আখতার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরাও দুর্গোৎসব পালন করি। আমাদের জনগণও এটি উপভোগ (খেতে) করবে। আমরা ক্ষমা চাচ্ছি, কিন্তু আমরা ভারতে কোনো ইলিশ পাঠাতে পারব না। এটি দামি মাছ। আমরা দেখেছি, আমাদের দেশের মানুষই ইলিশ খেতে পারেন না। কারণ সব ভারতে পাঠানো হয়। যেগুলো থাকে, সেগুলো অনেক দামে খেতে হয়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুর্গাপূজার সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার হাজার টন ইলিশ ভারতে পাঠাতেন, এই উদ্যোগের সমালোচনা করে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভারতে মাছ পাঠানোর কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল না। ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের কথা বলে তাঁর মাছ পাঠানো ঠিক হয়নি। তিনি বাংলাদেশের মানুষের প্রয়োজনীয়তাকে উপেক্ষা করেছেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি আরো বলেন, ইলিশ নিয়ে ভারতের কোনো ইস্যু সৃষ্টি করার দরকার নেই। যদি তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়, তাহলে তাদের তিস্তার পানি বণ্টনের সমস্যার সমাধান করা উচিত।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৪৪০ কেজি ইলিশ জব্দ</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, অবৈধভাবে ভারতে পাচারের সময় কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ভারতীয় সীমান্ত এলাকা থেকে এবার ৪৪০ কেজি ইলিশ জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একটি দল। গতকাল ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স ম আজহারুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) থেকেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইউএনও স ম আজহারুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল এলাকার মনোরা নামক স্থান থেকে ইলিশগুলো জব্দ করা হয়। পরে বিজিবির নিয়মানুযায়ী সেগুলো নিলামে বিক্রি করা হয়েছে বলে জেনেছি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিজিবির দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্তে চোরাচালানবিরোধী অভিযান চালায় বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের অধীন শশীদল বিওপির একটি টহল দল। এ সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা ১৭টি বাক্সে থাকা ৪৪০ কেজি ইলিশ ফেলে চলে যায়। পরে সেগুলো আটক করে বিজিবি। যার আনুমানিক মূল্য ৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল এলাকার সীমান্ত পিলার ২০৫৭/২-এস থেকে ৫০০ গজ ভেতরে বাংলাদেশের ভেতর মনোরা নামক স্থান থেকে ইলিশগুলো জব্দ করা হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিজিবি সূত্র জানায়, আটকের পর নিয়মানুযায়ী ইলিশগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। সেসব অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে বিজিবির অভিযান অব্যাহত থাকবে। তবে নিলামে কত টাকায় মাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে, সেই তথ্য উল্লেখ করা হয়নি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রসঙ্গত, এর আগে বুড়িচং উপজেলার ভারতীয় সীমান্ত এলাকা থেকে  ৬২০ কেজি ইলিশ আটক করে বিজিবির একটি দল। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে বুড়িচং উপজেলার উত্তর আনন্দপুর সীমান্ত এলাকা থেকে ইলিশগুলো আটক করা হয়। সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের (৬০ বিজিবি) অধীন বুড়িচং উপজেলার খাড়েরা বিওপির সদস্যরা পরিত্যক্ত অবস্থায় মাছগুলো আটক করেন।</span></span></span></span></p>