<p><strong><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দুষ্প্রাপ্য রনডেলেশিয়াগাছ। পানামার সুগন্ধি গোলাপ নামেও পরিচিত। চিরসবুজ গুল্ম। এই গাছের আদি আবাস কিউবা। দেখতে অনেকটা রঙ্গনের মতো, উজ্জ্বল কমলা-লাল এবং হলুদ গলা, পিনহুইল আকৃতির, বাইরে চকচকে; নলাকার, দেড় থেকে দুই সেন্টিমিটার, পাপড়ির আগা ভোঁতা, প্রায় গোলাকার</span></span></span></span></span></strong></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রথম দেখায় মনে হয়েছিল রঙ্গন ফুলের কোনো প্রজাতি। পরে ভুল ভাঙল। অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মার </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ফুলগুলি যেন কথা</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Arial Unicode MS Bold""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> গ্রন্থে গাছটির পরিচিতি রনডেলেশিয়া নামে। কোনো বাংলা নাম নেই। রমনা পার্কে অশোককুঞ্জের উত্তর পাশ লাগোয়া কয়েকটি রঙ্গনের পাশেই গাছটির অবস্থান। বিক্ষিপ্ত ডালপালার গাছটি বেশ কয়েক বছর আগেই দেখেছি সেখানে। প্রায় বর্ষব্যাপ্ত প্রস্ফুটন এবং চটকদার রঙের জন্য যেকোনো উদ্যানেই মানানসই। সঠিক পরিচর্যার অভাবে পার্কের গাছটি বেশ হতশ্রী দেখাচ্ছিল। গাছটিকে ছেঁকে ধরেছিল আগাছা ও বুনো লতা। সব মিলিয়ে সেদিন গাছটিকে বেশ বিপন্ন মনে হয়েছিল। কয়েক বছর পর এই বিপন্নতার খেসারতও দিতে হলো। হারিয়ে গেল দুষ্প্রাপ্য এই গাছ। পার্ক কর্তৃপক্ষ গাছটির মৃত্যুর বিষয়ে কিছুই জানত না। এমনকি এখানে যে এমন একটি দুর্লভ গাছ ছিল, সে বিষয়েও তারা জ্ঞাত ছিল না। এমনও হতে পারে, জানা থাকলেও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি! তবে বংশবৃদ্ধির ক্ষেত্রে কিছুটা স্পর্শকাতর বলেই রনডেলেশিয়ার তেমন বিস্তার ঘটেনি। জানা মতে মিরপুর জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান ও নিউ বেইলি রোডের ডাক বিভাগের আবাসিক ভবনগুলোর একটিতে দুটি রনডেলেশিয়া আছে। সম্প্রতি আরেকটি গাছ দেখেছি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় আমিনুল ইসলামের </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গাছবাড়ি</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Arial Unicode MS Bold""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তে।  </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রনডেলেশিয়া  (</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">Rondeletia odorata)</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> পানামার সুগন্ধি গোলাপ নামেও পরিচিত। এটি চিরসবুজ গুল্ম। আলেক্সান্ডার ভন হামবল্ডট ও অ্যামি বনপেন্ড সর্বপ্রথম মেক্সিকো থেকে এই গাছ সংগ্রহ করেন। ১৮১৮ সালের দিকে  </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">Nova Genera et Species Plantarum</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> গ্রন্থের চতুর্থ সংস্করণে এই গাছের উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম সংযুক্ত করা হয়। রনডেলেশিয়া নামটি স্যার গুইলামি রনডিলেটের স্মারণিক। এই গাছের আদি আবাস কিউবা। সাধারণত এক থেকে দেড় মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে, গড়নের দিক থেকে লম্বাটে স্বভাবের। পাতা বিপরীত, ডিম্বাকৃতি, উপবৃত্তাকার বা উপবৃত্তাকার-আয়তাকার, চার থেকে ছয় সেন্টিমিটার লম্বা, ওপরের পিঠ রোমশ। মঞ্জরি-ঢাকনা সংকীর্ণভাবে ত্রিভুজাকার থেকে ডিম্বাকৃতি বা উপবৃত্তাকার।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> ফুলগুলো শাখা-প্রান্তে ছোট ছোট থোকায় প্রায় সাত থেকে আট মাস পর্যন্ত ফোটে। দেখতে অনেকটা রঙ্গনের মতো, উজ্জ্বল কমলা-লাল এবং হলুদ গলা, পিনহুইল আকৃতির, বাইরে চকচকে; নলাকার, দেড় থেকে দুই সেন্টিমিটার, পাপড়ির আগা ভোঁতা, প্রায় গোলাকার। ফলপড গোলাকার থেকে অবনমিত গোলাকার। বংশবৃদ্ধি দাবাকলমে।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>