<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরী আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। তাঁর করা ভুয়া মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে গত ১৫ বছর ঘর ছেড়ে বিএনপির শত শত নেতাকর্মী পালিয়ে বেড়িয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><img alt="সামশুল হকের মিথ্যা মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘরছাড়া" height="292" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/09.September/06-09-2024/789990.jpg" style="float:left" width="334" />বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন উল্লেখ্য করে পটিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব খোরশেদ আলম বলেন, দেশ আজ স্বৈরাচারমুক্ত। এই অবস্থায় সামশুর হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তিনি বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">খুব ভয়ংকর একটা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা দিন পার করছিলাম। সামশু আমাদের ওপর কঠোর দমন-পীড়ন চালিয়েছেন। তাঁর অত্যাচারে আমাদের নেতাকর্মীরা খুব কঠিন সময় পার করেন। অনেকে তাঁদের চাকরি হারিয়েছেন, অনেকের ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের অনেক নেতাকর্মী জীবিকার জন্য রিকশাও চালিয়েছিলেন।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Arial Unicode MS Bold""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পটিয়া পৌরসভা যুবদল নেতা এস এম রেজা রিপন বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">১৫টি বছর বাড়িতে থাকতে পারিনি। মিথ্যা আর গায়েবি মামলায় আমার মতো আরো অনেক নেতাকর্মীকে হয়রানি করা হয়েছিল। জেলেও যেতে হয়েছিল আমাকে। এখনো মামলার হাজিরা দিতে আদালতে যেতে হয়। আমার একটাই অপরাধ</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমি যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। এ জন্য সামশুর রোষানলের শিকার হয়ে গায়েবি মামলায় আসামি করা হয়েছে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Arial Unicode MS Bold""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সামশুল হক চৌধুরী এতটাই বেপরোয়া যে, নিজ দলের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধেও মামলা এবং হয়রানি করতে পিছপা হননি।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ব্যবসায়ী সেলিম নবী এমন একজন, যার বিরুদ্ধে সাতকানিয়ার আকবর হোসাইন নামের এক ব্যক্তি পটিয়া থানায় মোবাইল চুরির অভিযোগ দিয়ে মিথ্যা মামলা করেন। নেপথ্যে ছিলেন সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। তখন ঘটনাটি নিয়ে পটিয়া তথা দক্ষিণ চট্টগ্রামজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় মামলায় তারিখ ও যে সময় উল্লেখ করা হয়েছে, সেদিন ঘটনায় জড়িত থাকা দূরের কথা, পটিয়ায় পর্যন্ত ছিলেন না আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম নবী। যাদের আসামি করা হয়েছে, তারাও কেউ কারো পরিচিত না। এ ধরনের মামলার ঘটনায় পুলিশও বিব্রত অবস্থায় পড়ে। বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজিসহ চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সাতকানিয়া পৌরসভার তৎকালীন মেয়র মোহাম্মদ জোবাইর বলেছিলেন, সাতকানিয়া থেকে পটিয়ায় গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে মামলা করবে, এটা বিশ্বাস হচ্ছে না। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সেলিম নবী বলেন, সামশুল হক চৌধুরীর চাঁদাবাজির কারণে ২০০৭-২০০৮ সালের তৎকালীন সরকারের বরাদ্দ দেওয়া এশিয়ান হাইওয়ের প্রজেক্ট বন্ধ হয়েছিল। বিষয়টি তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনও জানতেন। সামশুল হক এই প্রজেক্ট থেকে ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকার ওপরে চাঁদা নিয়েছেন। ঠিকাদার টিকতে না পেরে পালিয়েছিলেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ভাটিখাইন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এলাকায় একটা প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করি। কিন্তু সেটিকে এমপিওভুক্ত করতে দেননি সামশুল হক চৌধুরী। যখন ডিও লেটার দেওয়া হতো, তখনই তিনি আমাদের স্কুলটির নাম শেষে দিতেন। এ নিয়ে তৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর আবদুর রহিম চৌধুরীকে হুমকি দেন সামশুল হক। তিনি আমার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মিথ্যা মামলা দেন। এখনো এসব মামলা চলছে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Arial Unicode MS Bold""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পটিয়ার রাজপথে তেমন রাজনৈতিক উত্তাপ না থাকলেও মামলা ও আসামির সংখ্যা বেড়ে চলছিল সামশুল হক চৌধুরী সংসদ সদস্য থাকার সময়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব মামলা নিয়ে অনেকটা দুশ্চিন্তায় পড়েন বিএনপির স্থানীয় শীর্ষ নেতারা। সামশুল হক বিএনপিকে পটিয়ার রাজনীতির মাঠ থেকে দূরে রাখতে </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মিথ্যা, গায়েবি ও ভৌতিক</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Arial Unicode MS Bold""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> মামলা দিয়েছিলেন। কোনো কারণ কিংবা ঘটনা ছাড়াই অযথা মিথ্যা মামলা করে, নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে অনেক বিএনপি নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।</span></span></span></span></span></p> <p> </p>