<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">উত্তাপ বাড়ছে চালের বাজারে। বন্যার প্রভাবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) চালের দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। শাক-সবজি ও মুরগির দামও ঊর্ধ্বমুখী। এ ছাড়া আরো বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। গতকাল রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে দাম সহনীয় রাখতে আলু, পেঁয়াজ ও কীটনাশকের শুল্ক কমানো হয়েছে। গতকাল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর এসব পণ্যে শুল্ক কমানোর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজার, কৃষি মার্কেট ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা চাল পাইজাম ও ব্রি-২৮ খুচরায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকায়। চিকন চাল (মিনিকেট) মানভেদে ৭৪ থেকে ৮২ টাকায় এবং নাজিরশাইল প্রতি কেজি মানভেদে ৭৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা চাল বিক্রেতারা বলছেন, মাসখানেক আগেও প্রতি কেজি পাইজাম ও ব্রি-২৮ প্রতি কেজি ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা এবং মিনিকেট ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ ব্যাপারে মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের মেসার্স বিসমিল্লাহ রাইসের বিক্রেতা মো. আনিসুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ বছর বাজারে ধানের দাম এমনিতেই বাড়তি ছিল, বন্যার কারণে ধানের দাম আরো বেড়ে যাওয়ায় মিলাররা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এখন মোটা পাইজাম চাল পাইকারিতে বস্তা (৫০ কেজি) দুই হাজার ৯০০ টাকা ধরা হচ্ছে, যা কিছুদিন আগেও দুই হাজার ৭০০ টাকায় কেনা গেছে। গাড়ি ভাড়াসহ বিভিন্ন খরচ মিলিয়ে তিন হাজার ১০০ টাকার নিচে বস্তা বিক্রি করা যাচ্ছে না। একইভাবে এখন সব ধরনের চালের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Arial Unicode MS Bold""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি মানভেদে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও দেড় সপ্তাহ আগেও ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় এবং সোনালি মুরগির কেজি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ডিম এখনো ক্রেতার নাগালের বাইরে। খুচরায় প্রতি ডজন ফার্মের ডিম ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বন্যার প্রভাব পড়েছে রাজধানীর সবজির বাজারে। প্রতি কেজি গোল বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লম্বা বেগুন কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। লাউ ৮০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। আলু ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা যায়। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৪০ টাকায়। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল হাই কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">টানা বৃষ্টি ও বন্যার কারণে বিভিন্ন এলাকায় সবজি ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। এখন যেসব এলাকা থেকে সবজি আসছে সেগুলো পাইকারিতেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Arial Unicode MS Bold""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এদিকে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে অব্যাহতভাবে। ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তান, চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করেও দাম কমানো যাচ্ছে না। এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আশার কথা হলো, গতকাল এনবিআর পেঁয়াজের দাম সহনীয় রাখতে শুল্ক কমিয়েছে। পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বা আরডি তুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আলুর শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ এবং আরডি ৩ শতাংশ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ছাড়া কৃষিপণ্য উৎপাদনে খরচ কমাতে কীটনাশকের শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। প্রত্যাহার করা হয়েছে আরডি ও ভ্যাট।</span></span></span></span></span></p> <p> </p>