<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কোথাও তিনজন লোক থাকলে একজনকে বাদ দিয়ে দুজনে কানাঘুষা করা ইসলামে নিষেধ। এতে তৃতীয় ব্যক্তি ভীত হয়, মনঃক্ষুণ্ন হয়। পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট হয়। এটি আরবের ইহুদি ও মুনাফিকদের স্বভাব ছিল। তাদের এই বদ অভ্যাসের ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তুমি কি তাদের দেখো না, যাদের কানাঘুষা করতে নিষেধ করা হয়েছিল। অতঃপর তারা সেই নিষিদ্ধ কাজেরই পুনরাবৃত্তি করে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">(সুরা : মুজাদালাহ, আয়াত : ৮)</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এই আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসিরবিদরা লেখেন, এখানে উদ্দেশ্য মদিনার ইহুদি এবং মুনাফিকরা। যখন মুসলিমরা তাদের পাশ দিয়ে পেরিয়ে যেত, তখন তারা আপসে মাথায় মাথা লাগিয়ে এমনভাবে চুপে চুপে কানাঘুষা করত যে মুসলিমরা মনে করত তারা মনে হয় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র করছে অথবা মুসলিমদের কোনো সৈন্য দলের ওপর শত্রুপক্ষ আক্রমণ করে তাদের ক্ষতি সাধন করেছে, যার খবর এদের কাছে পৌঁছে গেছে। এতে মুসলিমরা ভয় পেয়ে যেত। তাই রাসুল (সা.) তাদের কানাঘুষা করতে নিষেধ করে দিলেন। কিন্তু কিছুদিন পর তারা আবার এই নিন্দনীয় কাজের পুনরাবৃত্তি করল। আয়াতে তাদের এই নিন্দনীয় কাজের কথাই বর্ণনা করা হচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমাদের নবীজি (সা.) সাহাবায়ে কিরামকে এই কাজ করতে নিষেধ করেছেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যখন তোমরা তিনজন থাকবে, তখন তৃতীয়জনকে ছেড়ে তোমরা গোপনে পরামর্শ কোরো না তার অনুমতি ছাড়া। কেননা সেটি তাকে দুঃখ দেবে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ৬৩৩৮)</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বর্তমান যুগেও এ কাজটি অনেকে করে থাকে। কয়েকজনের কথোপকথনে হঠাৎ করে দেখা যায়, দুজন গোপনে কথাবার্তা বলে, ইশারা-ইঙ্গিতে কথা বলে। ফলে অন্যদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়, বিরক্তির সৃষ্টি হয়। যেহেতু এ কাজটি করার ব্যাপারে কোরআনে নিষেধাজ্ঞা এসেছে, আমাদের উচিত এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকা। মহান আল্লাহ সবাইকে তাওফিক দান করুন। আমিন।</span></span></span></span></span></p>