<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">লাভের আশায় এস আলমের চার ব্যাংকসহ মোট পাঁচ ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট (স্থায়ী আমানত) রেখে বিপাকে পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এই পাঁচ ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে জমা আছে এক হাজার ১০৬ কোটি টাকা।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এই টাকা ফেরত পেতে একাধিকবার ব্যাংকগুলোকে তাগাদা দিয়েও সমাধান পাচ্ছে না সংস্থাটি। উপায় না দেখে অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশ ব্যাংককে জরুরি চিঠি পাঠিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এসব অর্থ ফেরত না পাওয়ায় পুনর্বিনিয়োগ ও উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে সংস্থাটি। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মূলত জাহাজ ভেড়ানো, পণ্য ওঠানামা করানো, ইয়ার্ড ভাড়া ও নিজস্ব জমির ভাড়াসহ বিভিন্ন খাত থেকে বছরে বিপুল পরিমাণ আয় করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ তহবিল থেকেই বন্দরের চলমান অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। এর পাশাপাশি যন্ত্রপাতি, জনবল ও পরিচালন খাতের ব্যয়ও মেটানো হয়।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, এস আলম নিয়ন্ত্রিত চারটি ব্যাংকের ২১টি শাখায় চট্টগ্রাম বন্দরের স্থায়ী আমানত আছে ৯২৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চারটি শাখায় ১৯০ কোটি টাকা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের দুটি শাখায় ১১৫ কোটি, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের (চট্টগ্রাম) চারটি শাখায় ২১২ কোটি এবং ইউনিয়ন ব্যাংকের ১১টি শাখায় ৪১১ কোটি টাকা রয়েছে। এ ছাড়া পদ্মা ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখায় ২২টি এফডিআরের মাধ্যমে ১৭৯ কোটি টাকা আমানত রেখেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এদিকে গত ২৯ আগস্ট চট্টগ্রাম বন্দরের অর্থ ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুস শাকুর স্বাক্ষরিত এক আদেশে কয়েকটি ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন বন্ধ ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এসব ব্যাংকের তালিকায় আছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সেবার বিপরীতে মাসুল বা চার্জ হিসেবে এসব ব্যাংকের চেক, পে-অর্ডার ও ব্যাংক গ্যারান্টি গ্রহণ করবে না বন্দর কর্তৃপক্ষ। ফলে এই ব্যাংকগুলো থেকে ইস্যু করা সব ধরনের পে-অর্ডার, চেক, ব্যাংক গ্যারান্টি গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানানো হয়।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চট্টগ্রাম বন্দরের একাধিক কর্মকর্তা জানান, আগে সরকারি, আধাসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের তহবিলে থাকা অর্থের ৭৫ শতাংশ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে এবং ২৫ শতাংশ বেসরকারি ব্যাংকে জমা রাখার আইন ছিল। কিন্তু চার বছর আগে এই আইন সংশোধন করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে ৫০ শতাংশ এবং বেসরকারি ব্যাংকে ৫০ শতাংশ অর্থ জমা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তখন থেকেই মূলত এসব দুর্বল ব্যাংক রাজনৈতিক প্রভাব কাটিয়ে, চাপ প্রয়োগ করে, তদবির ও লোভনীয় প্রস্তাবসহ নানা প্রচেষ্টার মাধ্যমে বন্দরের টাকা জমা নিতে শুরু করে। এতে বিপদে পড়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কর্মকর্তারা আরো জানান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ব্যাংকে জরুরি পত্র দিয়ে পদ্মা ব্যাংকে জমা রাখা ১৭৯ কোটি টাকা উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছে। এ ব্যাংকে রাখা আমানতের বিপরীতে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কোনো প্রকার মুনাফা দিচ্ছে না পদ্মা ব্যাংক। ফলে এফডিআর ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ছয়টি এফডিআরের বিপরীতে ৯৫ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে চিঠি দিলে তারা কোনো সাড়া দেয়নি। পরে বন্দর কর্তৃপক্ষ এসব টাকা আদায়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বারস্থ হয়। পদ্মা ব্যাংকের মতো ন্যাশনাল ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক এবং আইসিবি বন্দর কর্তৃপক্ষের চিঠিতে কোনো সাড়া দেয়নি।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক কালের কণ্ঠকে বলেন, কিছু ব্যাংকে বন্দরের ফিক্সড ডিপোজিট জমা আছে। আর কিছু ব্যাংক এফডিআরের বিপরীতে কোনো মুনাফা দিচ্ছে না। এফডিআরের অর্থ ফেরতও দিচ্ছে না।</span></span></span></span></span></p> <p> </p>