<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে উচ্চ আদালতের নির্দেশের প্রতিবাদে ফের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন চালকরা। গতকাল শুক্রবার তৃতীয় দিনের মতো রাজধানীর জুরাইন এলাকায় সড়ক ও রেললাইনে অবস্থান নেওয়া ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। তাদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এক পর্যায়ে কাঁদানে গ্যাসও ছুড়েছে পুলিশ। রিকশাচালকরা রেললাইনে অবস্থান নেওয়ায় পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণের পথে রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি জুরাইন রেলস্টেশনে আটকা পড়ে নারায়ণগঞ্জ কমিউটার। অন্যদিকে অবরোধের কারণে কমলাপুরের শহরতলি স্টেশনে খুলনাগামী নকশিকাঁথা কমিউটার ট্রেন আটকা পড়ে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ বলছে, দুপুর পৌনে ১টার দিকে দুই শতাধিক ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক জুরাইন লেভেলক্রসিং অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা রেললাইনের প্রতিবন্ধক নামিয়ে দেন। এতে আশপাশের সড়কগুলোতে যানজটের সৃষ্টি হয়। দুপুর ১টার দিকে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের যাওয়ার অনুরোধ করে। তবে রিকশাচালকরা রেললাইনে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় রিকশাচালক ও পুলিশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে রিকশাচালকদের সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে চালকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শ্যামপুর থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে এবং লাঠিপেটা করতে বাধ্য হয়েছে। দুপুর দেড়টার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৫ ঘণ্টা পর দক্ষিণের পথে রেল চলাচল স্বাভাবিক : কমলাপুর রেলস্টেশনের মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, বিক্ষোভকারীরা সরে যাওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে ওই লাইনের ট্রেন ছেড়ে যায়। ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকদের বিক্ষোভের জেরে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রিকশাচালকরা রেললাইনে অবস্থান নিলে আমাদের পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চল ও নারায়ণগঞ্জমুখী সব ট্রেন বন্ধ রাখতে হয়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর আগে গত বৃহস্পতিবারও রাজধানীর চারটি জায়গায় ছয়-সাত ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন অটোরিকশার চালকরা। দুপুরে মহাখালীতে রিকশাচালকদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ওই এলাকার একাধিক ভবন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করেন। বৃহস্পতিবারও সকাল ৯টা ছয় ঘণ্টা ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। রেললাইন অবরোধের কারণে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকা থেকে খুলনা ও রাজশাহীগামী ট্রেন চলাচল তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকে। রেললাইন অবরোধের কারণে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকা থেকে খুলনা ও রাজশাহীগামী ট্রেন  চলাচল তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার হাইকোর্ট ঢাকা মহানগর এলাকার সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল তিন দিনের মধ্যে বন্ধ বা বিধি-নিষেধ আরোপ করতে নির্দেশ দেন। পেডালচালিত রিকশা সমিতির করা একটি রিটের প্রাথমিক শুনানির পর হাইকোর্ট গত মঙ্গলবার ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের ওই আদেশ দেন। </span></span></span></span></p>