<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে, ছাত্র-জনতার প্রত্যাশা অনুসারে নতুন বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজনীয় সংস্কার কবে নাগাদ সম্পন্ন হবে, দেশবাসীর তা জানার ব্যাপক আগ্রহের মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বক্তব্য প্রচারিত হয়েছে। গত সোমবার রাজধানী ঢাকায় নিজ কার্যালয়ে বসে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধানের এই বক্তব্য গতকাল একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ করে রয়টার্স। সেনাপ্রধান বলেন, সংস্কারের ধারাবাহিকতায় এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে গণতন্ত্রে উত্তরণ ঘটা উচিত। তবে সে জন্য তিনি ধৈর্য ধরার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তিনি বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে আমি বলব যে এই সময়সীমার মধ্যেই আমাদের একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করা উচিত।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সেনাপ্রধানের এই বক্তব্য গতকাল দেশব্যাপী অন্যতম আলোচনার বিষয় ছিল। রাজনৈতিক দলগুলো তাঁর এই বক্তব্য ইতিবাচক বলে জানায় এবং একই সঙ্গে নির্বাচনের আগে দ্রুত সংস্কারকাজ সম্পন্ন করার তাগিদ দেয়। দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল দ্রুত নির্বাচন এবং সংস্কার প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণের কথা বলে। বিশিষ্ট নাগরিকদের পক্ষে এই ধারণা পোষণ করে বলা হয় যে সেনাপ্রধান নিশ্চয়ই এককভাবে এই সময়সীমার কথা বলেননি। সংস্কারের কাজ এত স্বল্প সময়ে সম্ভব নাও হতে পারে বলে মত প্রকাশ করে বলা হয়, এই টাইমলাইন পাথরে খোদাই করা নাও হতে পারে। </span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সেনাপ্রধান আরো যা বলেছেন</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাপ্রধান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি তাঁর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলে জানান। এ ছাড়া সামরিক বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত করার একটি রূপরেখার কথাও জানান। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ড. ইউনূস প্রসঙ্গে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমি তাঁর পাশে থাকব। যা-ই হোক না কেন। যাতে তিনি তাঁর মিশন সম্পন্ন করতে পারেন।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে তিনি প্রতি সপ্তাহে সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। অস্থির সময়ের পর দেশকে স্থিতিশীল করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। আমি নিশ্চিত যে আমরা যদি একসঙ্গে কাজ করি, তাহলে আমাদের ব্যর্থ হওয়ার কোনো কারণ নেই।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তাঁর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রাজনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করবে না জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমি এমন কিছু করব না, যা আমার বাহিনীর জন্য ক্ষতিকর। আমি একজন পেশাদার সৈনিক। আমি আমার সেনাবাহিনীকে পেশাদার রাখতে চাই।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সরকারের সংস্কার প্রস্তাবের সঙ্গে সংগতি রেখে সেনাবাহিনীও তার সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। এরই মধ্যে কিছু সেনা সদস্যকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান থেকে দূরে রাখতে চান। এ প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, এটা শুধু তখনই ঘটতে পারে, যখন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার কিছুটা ভারসাম্য থাকে, যেখানে সশস্ত্র বাহিনীকে সরাসরি রাষ্ট্রপতির অধীনে রাখা যেতে পারে। সামগ্রিকভাবে সামরিক বাহিনীকে কখনোই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা উচিত নয়। একজন সৈনিকের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া উচিত নয়।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সেনাপ্রধান টাইমলাইনের কথা এককভাবে বলেননি </span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান সেনাপ্রধানের এই বক্তব্য সম্পর্কে গতকাল বিকেলে কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সেনাপ্রধান নির্বাচনের জন্য ১৮ মাসের যে টাইমলাইনের কথা বলেছেন, আমার ধারণা তা নিশ্চয়ই এককভাবে বলেননি। প্রধান উপদেষ্টা, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষেই তা বলেছেন। আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তিনি পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, যে অবস্থাই হোক, যাই ঘটুক না কেন সেনাপ্রধান, সেনাবাহিনী এই অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের পাশে আছে এবং এই সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাবে। সেনাবাহিনী রাজনীতি থেকে দূরে থাকবে। টাইমলাইনের বিষয়টিও এসেছে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের বৈঠকের পর পর। কাজেই আমি মনে করি, এটা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষেই এসেছে। তবে একই সঙ্গে তিনি ধৈর্য ধরার কথাও বলেছেন। যে সময়সীমার কথা বলা হয়েছে তা পাথরে খোদাই করা নাও হতে পারে। কারণ এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কারের কথাও বলা হয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারটা এমন একটি গুরুদায়িত্ব, এর সঙ্গে ছাত্র-জনতার নতুন বাংলাদেশের যে স্বপ্ন জড়িত, এটি স্বল্প মেয়াদে সম্ভব না তা সবারই জানা। আর নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে, সেটাও জনগণের প্রত্যাশা। দুটি প্রত্যাশারই সংমিশ্রণ ঘটেছে। এ অবস্থায় যে টাইমলাইনের কথা সেনাপ্রধান বলেছেন তা পাথরে খোদাই করা বলে আমি মনি করি না। রাষ্ট্র সংস্কারে প্রয়োজনে এর কমবেশি পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনাও করা হতে পারে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রয়টার্সকে সাক্ষাৎকারে একটি গুরুত্ব বক্তব্য এসেছে যে সেনাবাহিনীকে দলীয় রাজনীতি থেকে মুক্ত রাখার জন্য সেনাপ্রধান প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং সেই লক্ষ্যে রূপরেখা দিয়েছেন। এই রূপরেখা সম্পর্কে আমার জানার সুযোগ নেই। তবে নিশ্চয়ই এটার মধ্যে অঙ্গীকার আছে এবং তা খুবই অপরিহার্য। সেনাবাহিনীর মত রাষ্ট্রীয় সংস্থার মধ্যে দলীয় রাজনীতির প্রভাব যে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে তা আমরা এরই মধ্যে দেখেছি। এ বিষয়ে সেনাপ্রধানের শক্ত অবস্থান নেওয়া এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে আগে যাঁরা অনিয়ম করেছেন, অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত করার বিষয়টি আশা জাগানিয়া। সেনাবাহিনী রাজনীতি থেকে দূরে থাকবে, সেনাবাহিনীর কাছে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। সেনাবাহিনী পরিচালনার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ের কথাও বলেছেন সেনাপ্রধান। সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্বাধীন ছিল। এটা যে সেনাবাহিনীকে দলীয়করণের অন্যতম কারণ, সেটা উপলব্ধি করে তার পরিপ্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর কর্তৃত্ব রাষ্ট্রপতির কাছে হস্তান্তর করার প্রস্তাব অত্যন্ত যৌক্তিক মনে করি। এতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আসবে। এই প্রস্তাবগুলো বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য নিশ্চয়ই সরকার এবং সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সংস্কারের কাজ দীর্ঘায়িত হবে</span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার মনে করেন, নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ সরকার ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়েই নির্ধারিত হবে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত কন্যাশিশুর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন উপস্থাপন উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, দেড় বছরের মধ্যে রাষ্ট্রের সংস্কার করে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব কি না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এটা আমার জানার কথা নয়। আমি মনে করি যে সংস্কারের কাজ দীর্ঘায়িত হবে। রাজনৈতিক দল ও সরকারের মধ্যে সংলাপ হবে। একটা রোডম্যাপ তৈরি করে তার ভিত্তিতে বোধ হয় সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত হবে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিক্রিয়া </span></span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সেনাপ্রধানের বক্তব্যের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কালের কণ্ঠকে বলেন, যত দ্রুত নির্বাচন হবে ততই জাতির জন্য মঙ্গল। তাই নির্বাচন যৌক্তিক সময়ের মধ্যেই হওয়া উচিত। তিনি মনে করেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ জরুরি। সে জন্যই নির্বাচন দরকার।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, সেনাপ্রধানের বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু সরকারপ্রধান থেকে এই ঘোষণা এলে ভালো হতো। দলের অন্য গুরুত্বপূর্ণ নেতারাও সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে ইতিবাচক বলছেন। তবে সরকারকে চাপে রাখতে বিএনপি দ্রুত নির্বাচনের কথাই বলে যাবে বলে জানান তিনি। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের দায়িত্বশীল একজন নেতা জানান, সেনাপ্রধানের বক্তব্য নিয়ে দলের এক সভায় আলোচনা হয়েছে। সেখানে এই বক্তব্য পর্যালোচনা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দলটির মুখপাত্র কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সেনাপ্রধান সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে তাঁর বক্তব্য দিয়েছেন। নির্বাচন বিষয়ে আমাদের আমির দলের অবস্থান আগেই তুলে ধরেছেন। তিনি জরুরি সংস্কারগুলো শেষ করে নির্বাচনের কথা বলেছেন। এ বিষয়ে আপাতত এটুকুই দলের বক্তব্য। দলীয় পর্যালোচনা শেষে এ বিষয়ে বিশদভাবে বলা যাবে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সেনাপ্রধান ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন হবে বলে যে ধারণা দিয়েছেন তা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। আমার বিশ্বাস, কোনো দল এতে দ্বিমত করবে না।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> তিনি বলেন, সংস্কারের কাজ শেষ করে নির্বাচন দিতে সরকারকে উপযুক্ত সময় দিতে হবে। তবে নির্বাচন আয়োজনে কোনোভাবে ১৮ মাসের বেশি সময় যাতে না লাগে সেদিকে সবার দৃষ্টি দেওয়া উচিত। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সেনাপ্রধান সরকারের প্রতি তাঁর সমর্থনের বিষয়ে বলেছেন এবং এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রত্যাশা করেছেন। তিনি তাঁর প্রত্যাশার কথাটা বলেছেন। আমরা আগে থেকেই সরকারকে বলে আসছি, দেশের অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সময় নির্ধারণের। শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলা দরকার। তাদের সঙ্গে কথা বলেই দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য যে করণীয়, সেগুলো সুনির্দিষ্ট করা দরকার। আলোচনার ভিত্তিতেই সময়সীমা ও রোডম্যাপটা নির্ধারণ করা দরকার। নির্বাচনও সেই সংস্কারেরই অংশ।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>