<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ছেলে সাফি মুদ্দাসির খান জ্যোতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ৩টার দিকে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা জেলা পুলিশের একটি দল। একই দিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশ ও আদালত সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুলিশ জানায়, আশুলিয়া থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সাফি মুদ্দাসির খান জ্যোতিকে রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু তাহের মিয়া তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালত শুনানি  শেষে  তাঁর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর আগে গত ১১  সেপ্টেম্বর হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ভুক্তভোগী মো. রবিউল সানি বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার ৪ নম্বর আসামি সাফি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ইউজিসির সাবেক সচিব ড. ফেরদৌস জামান, সাবেক সদস্য ড. মুহাম্মদ আলমগীর, ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র ও ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জ্যোতির বিরুদ্ধে যত অভিযোগ </span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, সাফি মুদ্দাসিরকে মেসার্স তিতাস বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নামের একটি কম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বানিয়ে রাখেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই প্রতিষ্ঠানের নামেই চলত বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি। টেকনাফের মিঠাপানির ছড়া ১ নম্বর প্লটে ৫.৫০৬৪ একর জমি কেনা হয়। এ ছাড়া লেংগুরবিল মৌজায় একই কম্পানির নামে লম্বরি ২ নম্বর প্লটে কম্পানির নামে কেনা জমির মূল্য প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শুধু অমোছনীয় কালি কিনতেই এক কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয় করে সাফি মুদ্দাসির সিন্ডিকেট। এ ছাড়া আরো ছয় কোটি টাকার অমোছনীয় কালি কেনে নির্বাচন কমিশন। যার টেন্ডার বাগিয়ে নেয় সাফি ও নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলমের আত্মীয়র যৌথ সিন্ডিকেট। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সূত্র জানায়, রাজধানীর পুরো ধানমণ্ডি এলাকায় সাফির ছিল একচ্ছত্র আধিপত্য। ধানমণ্ডি এলাকায় বিভিন্ন রেস্তোরাঁ দেওয়ার জন্য সাফি মুদ্দাসিরকে দিতে হতো এক থেকে দুই কোটি টাকা। টাকা দিলে কোনো রকম যাচাই-বাছাই ছাড়াই মিলত লাইসেন্স। আর লাইসেন্স করতে বাবার প্রভাব খাটাতেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, এসব রেস্তোরাঁ থেকে যেসব চাঁদা নেওয়া হতো, তাও একহাতে সামলাতেন সাফি মুদ্দাসির। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে শুধু কারওয়ান বাজার থেকে মাসে দেড় কোটি টাকার চাঁদা তোলা হতো জানিয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ফুটপাতে ব্যবসা, বাজার, মাদক ব্যবসায়ী ও আবাসিক হোটেল থেকে উঠানো হতো এসব চাঁদা। এ টাকা মন্ত্রীর হাতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মন্ত্রীর এপিএস মনির হোসেনসহ আরো দুজনকে। এই টাকার মোটা অংশ পেতেন আসাদুজ্জামান খান। পাশাপাশি এই টাকার একটা ভাগ পেতেন তাঁর ছেলেও।</span></span></span></span></p>