<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্তন্যপায়ী প্রাণী মহিষ বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার গ্রামাঞ্চলে ফসলের গাড়ি কিংবা তেলের ঘানি টানার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে ধরা হলেও অনেক দেশে মহিষকে এখনো বন্য প্রাণী হিসেবে দেখা যায়। বিশেষ করে নেপাল, আসামসহ ভারতের মধ্য প্রদেশ ও মায়ানমারের বনে বন্য মহিষের আনাগোনা আছে। সারা বিশ্বে প্রায় ৭২ জাতের মহিষ থাকলেও শুধু দুটি জাত গৃহপালিত হিসেবে পরিচিত</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওয়াটার/রিভার বাফেলো বা নদীর মহিষ ও সোয়াম্প বাফেলো বা জলাভূমির মহিষ। বাংলাদেশের মহিষের নির্দিষ্ট জাতের কোনো তথ্য নেই। জলাভূমির মহিষের বুক বেশ চওড়া, দেহ মাংসল ও গোলাকৃতির হয়। ওজন ৩০০ থেকে ৫০০ কেজি। এদের শিং বেশ লম্বা ও চন্দ্র্রাকৃতির দেখায়। নদীর মহিষের বুক প্রশস্ত, দেহ মাংসল তবে অপেক্ষাকৃত কম গোলাকৃতির হয়। ওজন ২৫০ থেকে ৭০০ কেজি। শিংয়ের আকার ও আকৃতি মাঝারি। আমাদের পাশের দেশ ভারত ও পাকিস্তানে নদীর মহিষের অনেক প্রজাতি দেখা যায়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের দেশে সব এলাকায়ই মহিষ পালন করা যায়। তবে চর এলাকা, হাওর, উপকূল অঞ্চল মহিষের জন্য আদর্শ। গরুর চেয়ে মহিষ পালনে খরচ কম। বালুচর বা বাথানের সবুজ ঘাস খেয়েই তারা দিন পার করতে পারে। রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হয় গরুর চেয়ে তুলনামূলক অনেক কম। মহিষের গাভি দিনে এক থেকে তিন লিটার পর্যন্ত দুধ দিয়ে থাকে। ভারতীয় রাভি, কুণ্ডী ও নিলী নামে পরিচিত মহিষরা দুধের জন্য বিখ্যাত। মহিষের দুধে মাখনের পরিমাণ হয় ৬ থেকে ১০ শতাংশ। প্রতিটি মহিষের জন্য দৈনিক প্রায় ৩০ কেজি সবুজ ঘাসের প্রয়োজন হয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের পূর্বপুরুষদের আদিম পেশা ছিল কৃষি। কৃষিনির্ভর এই বাংলায় জমি চাষাবাদে এক জোড়া গরু বা মহিষ, লাঙল-জোয়াল-মইয়ের সম্পর্ক বহু পুরনো। বছর ত্রিশেক আগেও এ উপকরণগুলো ছাড়া চাষাবাদ কল্পনাও করা যেত না। বর্তমানে কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণসহ গোখাদ্যের বাজার চড়া হওয়ার কারণে মহিষের সংখ্যা বাড়েনি আনুপাতিক হারে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের  ২০২২ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী এক দশকে দেশে মহিষের সংখ্যা আটকে আছে ১৫ লাখে। ব্রহ্মপুত্র নদ, যমুনা ও মেঘনা নদীর অববাহিকা, সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা ও দক্ষিণাঞ্চল ছাড়া মহিষের খুব একটা দেখা মেলে না। তবে উপকারের দিক থেকে গরুর তুলনায় মহিষ কোনো অংশে কম না।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>