<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খ্রিস্টের জন্মের প্রায় ১০ হাজার বছর আগের ঘটনা। নিওলিথিক বা নব্য প্রস্তরযুগের মানুষরা মধ্যপ্রাচ্যের উর্বর ভূমিতে সর্বপ্রথম কৃষিকাজের সূচনা করে। কৃষিজমিতে প্রথম সারের ব্যবহার হয় তাদের হাত ধরেই। তবে নিওথিলিকদের ব্যবহৃত সব সারই ছিল প্রাকৃতিক। এভাবে কেটে গেছে অনেক বছর। ধীরে ধীরে কমেছে জমির উর্বরতা। অনুর্বর এই ভূমিতে ফসলের ফলন কমতে থাকে ক্রমাগত। মাটিতে থাকা বিভিন্ন খনিজ উপাদান কমার কারণে রাসায়নিক সারের চাহিদা উপলব্ধি করে মানুষ। শুরু হয় গবেষণা। রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বে উৎপাদিত প্রথম সার সুপারফসফেট। ১৮৪০ সালে সালফিউরিক এসিডের সঙ্গে হাড়ের বিক্রিয়ার মাধ্যমে সুপারফসফেট তৈরি করা হয়। শিল্প বিপ্লবের সময় এই সারের চাহিদা এত বেড়েছিল যে মানুষ কবর থেকেও হাড় চুরি করা শুরু করে। পরবর্তী সময়ে সালফিউরিক এসিডের সঙ্গে ফসফেট কপ্রোলাইট বিক্রিয়া করে সুপারফসফেটের গুণগত মান আরো উন্নত করা হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সার বিভিন্ন প্রকারের হলেও প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অজৈব ও জৈব। অজৈব সারে জৈব উপাদান (কার্বন) থাকে না (ইউরিয়া ছাড়া)। অন্যদিকে জৈব সার বিভিন্ন জৈব উপাদান থেকে তৈরি হয়। জীবজন্তুর মল, ফসলের উপজাত দ্রব্য, মরা গাছপালা-পাতা জৈব সার তৈরির প্রধান উপাদান। জৈব সার যেহেতু প্রকৃতি থেকে তৈরি, সে জন্য গাছের চাহিদা পূরণে সক্ষম উপাদানই এখানে বিদ্যমান থাকে। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত জৈব সার ব্যবহার করলেও মাটির তেমন ক্ষতি হয় না। অন্যদিকে খুব দ্রুতগতিতে ফসলের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করতে রাসায়নিক সার ভালো ভূমিকা রাখে। কিন্তু রাসায়নিক সার মাটির উৎকর্ষ সাধন করতে পারে না। তাই এটি পরিমিত মাত্রায় ব্যবহার করা উচিত। রাসায়নিক সারের মধ্যে আছে ইউরিয়া (নাইট্রোজেন সরবরাহকারী), টিএসপি (ফসফরাস সরবরাহকারী) এবং এমপি (পটাশিয়াম সরবরাহকারী)  ইত্যাদি। আমাদের দেশে এই সারগুলো বেশি পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। এর বাইরেও বেশ কিছু মিশ্র সার ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। মিশ্র সার একসঙ্গে একাধিক পুষ্টি ঘাটতি পূরণে কাজ করে। যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ডিএপি বা ড্যাপ নাইট্রোজেন ও ফসফরাসের ঘাটতি মেটায়, জিপসাম (ক্যালসিয়াম ও গন্ধকের ঘাটতি মেটায়)।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বে ধান আবাদে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সার ব্যবহৃত হয় বাংলাদেশে। দেশে প্রতি হেক্টর জমিতে গড়ে প্রায় ৩০০ কেজিরও বেশি সার ব্যবহার করা হয়।</span></span></span></span></p>