<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পৃথিবীতে প্রথম ছুরির প্রচলন হয় আড়াই মিলিয়ন বছর আগে। প্রাগৈতিহাসিক মানুষের প্রথম দিকের ব্যবহৃত সরঞ্জামের মধ্যে এটি অন্যতম। সে সময় মানুষ শুধু শিকারের জন্য নয়, গাছপালা কাটা, ঘরবাড়ি বানানোর জন্যও ছুরির ব্যবহার করত। শুরুতে ছুরি বানানো হতো কাঠ, পশুর হাড় ও পাথর দিয়ে। এভাবে চলে দীর্ঘদিন। সময়ের পালাবদলে মানুষ ধাতু আবিষ্কার করে ফেলে। আবিষ্কৃত এই ধাতু ব্যবহৃত হতে থাকে ছুরি বানানোর কাজে। ধাতু আবিষ্কারের পর তামা, ব্রোঞ্জ, লোহা ছিল ছুরি তৈরির প্রধান উপাদান। আজকে আমাদের হাতের নাগালে থাকা ছুরিগুলো বেশির ভাগই ইস্পাত, সিরামিক বা টাইটানিয়াম দিয়ে তৈরি। ছুরির ক্রমবর্ধমান বিকাশে স্টেইনলেস স্টিলের আবিষ্কার ছিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আদিম মানুষের কাছে ছুরি ছিল নিছক একটি ধারালো অস্ত্র। ধীরে ধীরে তা বিকশিত হয়ে আধুনিক রূপ ধারণ করে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রাগৈতিহাসিক সময়ে ছুরির কোনো হাতল ছিল না। প্রান্তযুক্ত ফলাটি সরাসরি হাতে ধরে ব্যবহার করা হতো তখন। প্রস্তর যুগে মানুষ ছুরিতে হাতল লাগিয়ে ব্যবহারের পদ্ধতি আবিষ্কার করে। খ্রিস্টপূর্ব ৬০০০ বছর আগে সেল্টিক সংস্কৃতিতে ছুরির হাতল ব্যবহারের প্রমাণাদি পাওয়া যায়। হাতল তৈরিতে  প্রথমে হাড়ের ব্যবহার দেখা গেলেও পরে কাঠ, বিভিন্ন ধাতু ও চামড়ার ব্যবহার হতে থাকে। মধ্যযুগে ইউরোপে ছুরির আকার বড় ও দীর্ঘ হয়ে তরবারিতে পরিণত হয়। বর্শা ও কুড়াল ছুরির রূপান্তরিত সংস্করণ এবং ধীরে ধীরে ছুরি যুদ্ধের একটি প্রধান অস্ত্র হয়ে ওঠে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছুরিকে শুধু অস্ত্র হিসেবে দেখতে নারাজ ছিল ফ্রান্সের বোরবোন সাম্রাজ্য। তারা খাবার টেবিলে খাদ্য কাটার কাজে ব্যবহার করত ধারালো ছুরি। ১৬৬৯ সালে রাজা চতুর্দশ লুই খাবার টেবিলে ধারালো ছুরির ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেন। এর বদলে অপেক্ষকৃত কম ধারালো ও প্রশস্ত ছুরি ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি। ফ্রান্সের এই রীতি পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে ছুরি মাছ-মাংস বা সবজি কাটার অন্যতম ভরসা। বিভিন্ন ধরনের উপাদান কাটার জন্য আছে ভিন্ন ভিন্ন ছুরি। ৩ থেকে ১২ ইঞ্চি লম্বা শক্তিশালী ছুরিগুলো ব্যবহৃত হয় মাংস কাটার জন্য, খাঁজকাটা ব্রেড কাটিং নাইফ দিয়ে কেটে নেওয়া যায় রুটি, স্যান্ডউইচসহ পাতলা বস্তু,  ইউটিলিটি নাইফ ফল ও সবজির খোসা ছাড়ানো, মাংস ও রুটি কাটার কাজে ব্যবহার করা হয়। এর বাইরেও আছে চিজ নাইফ, বুচার নাইফ, চপার নাইফসহ অসংখ্য ছুরি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:right"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আল সানি</span></span></strong></span></span></span></p>