<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলায় বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। পানি যত নামছে, তত বেশি করে ভেসে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। মানুষের বাড়িঘরের ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়িতে থাকা খাদ্যের মজুদ নষ্ট হয়ে গেছে। মাঠের পর মাঠের আবাদকৃত আমন ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগির খামারের ক্ষতি হয়েছে। বেশির ভাগ রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উপদ্রুত এলাকার মানুষ খাদ্যসংকটের পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটে রয়েছে। নানাভাবে দূষিত পানি পান করায় মানুষ পেটের পীড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে, কিন্তু সেগুলো চাহিদার তুলনায় খুবই কম। তাই উপদ্রুত এলাকাগুলোতে মানুষের মধ্যে রীতিমতো হাহাকার চলছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলায় বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। কিন্তু এসব উপজেলার অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকাগুলোর পানি নামছে খুবই ধীরে। ফলে অনেকের পক্ষেই বাড়িঘরে ফিরতে বিলম্ব হচ্ছে। শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও নকলা উপজেলার গৌরদ্বার ইউনিয়নের ছয়টি গ্রাম উজানের ঢলে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এদিকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নে ঘাঘট নদের তীব্র ভাঙনের মুখে পড়েছে দক্ষিণ সাহাবাজ আশ্রয়ণ প্রকল্প ও মধ্য সাহাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। অসময়ে নদীভাঙন শুরু হওয়ায় অন্তত ৫০০ পরিবার ভাঙনের মুখে পড়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চলতি বছর দেশের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেসব এলাকার মানুষ এখনো বন্যার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে বন্যার প্রাদুর্ভাব ক্রমেই বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়া ক্রমেই চরমভাবাপন্ন হয়ে উঠছে। প্রায়ই কোনো না কোনো অঞ্চলে অতিবৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের নদী-খালগুলো দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে অতিবৃষ্টির সেই পানি এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি নদী দিয়ে নামতে পারে না। তখন সেই পানি নদীর দুই কূল ছাপিয়ে আশপাশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত করে। তাই বন্যা থেকে মানুষকে স্থায়ীভাবে রক্ষা করতে অবিলম্বে নদীগুলো খননের উদ্যোগ নিতে হবে। তার আগে দুর্গত এলাকার বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট থেকে তাদের রক্ষা করতে হবে। রোগব্যাধি মোকাবেলায়ও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।</span></span></span></span></p> <p> </p>