<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলে গত ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভাষণে তিনি বলেন, অরাজকতার বিষবাষ্প যারা ছড়াবে, তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। সব অপরাধীর বিচার করা হবে।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করার কথা জানায়। অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রস্তুত</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> থাকার কথা বলে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে প্রথমবারের মতো ঢাকা সফরে আসে একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল। যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও অর্থ দপ্তরের সহকারী আন্ডারসেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মার্কিন প্রতিনিধিদলের কাছে অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কারের  রূপরেখা তুলে ধরেন। দেশ পুনর্গঠন, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চান তিনি। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ২৪ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই বৈঠকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সমর্থনের বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশের রাজনীতি এক চরম দুঃসময় পার করে এসেছে। এর বড় কারণ হচ্ছে রাজনীতিতে অর্থ আর পেশিশক্তির ক্রমবর্ধমান প্রভাব। রাজনীতিতে আদর্শ, জনকল্যাণ, আত্মত্যাগ ও নৈতিকতা ক্রমেই দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়েছে। এক পর্যায়ে রাজনীতি হয়ে ওঠে বিত্তবৈভব অর্জনের হাতিয়ার। সমষ্টির কল্যাণের চেয়ে ব্যক্তির উদরপূর্তিই যেন রাজনৈতিক ধারা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। দেড় দশক ধরে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন স্তরে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের এক চরম অবক্ষয় পরিলক্ষিত হয়েছে। এতে কর্তৃত্ববাদ কিংবা স্বৈরাচার প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করেছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্র সংস্কারে ছয়টি কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে বলেন, সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করাই সংস্কারের মূল লক্ষ্য। এসব কমিশন এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে। সংস্কার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকও হয়েছে। সংস্কারটি খুব জরুরি দরকার। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা, সুশাসন, বৈষম্যহীন সমাজ, সমৃদ্ধি, শান্তি-শৃঙ্খলা আর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে। ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাস পূর্তি হচ্ছে আজ। সরকারের সামনে এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে। দূর করতে হবে অস্থিরতা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে দেশের অগ্রযাত্রাও অব্যাহত রাখতে হবে। দুর্নীতি দূর করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সবার আন্তরিক চেষ্টায় একটি কল্যাণমুখী বাংলাদেশ রাষ্ট্র বিশ্বে নতুন করে পরিচিত হবে, এটিই আমাদের প্রত্যাশা।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>