<p>ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার জানিয়েছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো। রাশিয়ার সর্বশেষ হামলা ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন দেওয়ার ব্যাপারে ন্যাটোকে ‘রুখতে’ পারবে না বলে পশ্চিমা সামরিক জোটটি জানিয়েছে।</p> <p>সামরিক জোটের মুখপাত্র ফারাহ দাখলাল্লাহ জানান, সম্প্রতি ইউক্রেনে রাশিয়ার একটি নতুন ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার ‘সংঘাতের গতিপথ পরিবর্তন করবে না বা কিয়েভের প্রতি ন্যাটোর সমর্থনকে থামাতে পারবে না’।</p> <p>ফারাহ দাখলাল্লাহ বলেন, রাশিয়া মধ্যবর্তী পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে বেসামরিক নাগরিকদের ‘আতঙ্কিত’ করার চেষ্টা করছে এবং ইউক্রেনের মিত্রদের ভয় দেখাচ্ছে।</p> <p>তিনি আরো বলেন, এই ধরনের অস্ত্র মোতায়েন সংঘর্ষের গতিপথ পরিবর্তন করবে না বা ন্যাটো মিত্রদের ইউক্রেনকে সমর্থন করা থেকে বিরত রাখতে পারবে না।’</p> <p>ন্যাটো এবং ইউক্রেন আগামী সপ্তাহে ব্রাসেলসে জরুরি আলোচনায় বসবে। ইউক্রেনে একটি নতুন ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার হামলার পর এই বৈঠক হতে যাচ্ছে।</p> <p>ন্যাটো-ইউক্রেন কাউন্সিলের বৈঠকটি আগামী মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর কিয়েভের অনুরোধে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে গঠিত কাউন্সিলটি ন্যাটো সদস্য ও সামরিক জোটে যোগ দিতে আগ্রহী দেশ ইউক্রেনের মধ্যকার একটি যৌথ সংস্থা।</p> <p>প্রসঙ্গত, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে আন্ত মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার কিয়েভ এই অভিযোগ তোলে। এই অভিযোগ সত্য হয়ে থাকলে ইউক্রেন যুদ্ধে প্রথমবারের মতো এই ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার হলো। এতে সংঘাতের তীব্রতা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইউক্রেনের দাবি, পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রটি মধ্যাঞ্চলীয় দিনিপ্রো শহরে আঘাত হেনেছে। তবে আন্ত মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে রাশিয়া। মস্কো বলেছে, পারমাণবিক যুদ্ধের সম্প্রসারণ ঠেকাতে সম্ভাব্য সব কিছু করছে তারা। সূত্র : এএফপি, বিবিসি</p> <p> </p> <p> </p>