<p>আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করার পক্ষে সাড়া দিয়েছে ইতালি, নেদারল্যান্ডস, কানাডা ও আয়ারল্যান্ড।  দেশগুলোর সরকার বলেছে, তারা আদালতের নির্দেশ মেনে চলবে। নেতানিয়াহু তাদের দেশে গেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।</p> <p>গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত বৃহস্পতিবার নেতানিয়াহু ও ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আইসিসি।  এ ছাড়া হামাস নেতা মোহাম্মেদ দেইফের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন  আইসিসি।  নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে স্বাগত জানিয়ে ফিলিস্তিন বলেছে, এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি আশা পুনরায় জাগিয়ে তুলেছে। নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে  ইহুদিবিদ্বেষী বলে আখ্যা দিয়েছেন।</p> <p>ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুইডো ক্রসেটো বলেছেন, নেতানিয়াহু তাদের দেশে সফর করলে তাকে গ্রেপ্তারে বাধ্য থাকবেন তারা। নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাসপার ভেল্ডক্যাম্প বলেছেন, নেতানিয়াহু ডাচ মাটিতে পা রাখলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। অন্যদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, তাঁর দেশ আইসিসির ওয়ারেন্টে সমর্থন দেবে ও মেনে চলবে। আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস বলেছেন, আয়ারল্যান্ডে এলেই নেতানিয়াহুকে অবশ্যই আটক করা হবে।  এদিকে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালেনা বেয়ারবক বলেছেন, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারির পরোয়ানায় কিভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে তা পরীক্ষা করে দেখছে তারা। এ ছাড়া নেতানিয়াহু ফ্রান্সের মাটিতে পা রাখলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না সে বিষয়টি পরিষ্কার না করলেও দেশটি বলেছে, তারা আইসিসির সিদ্ধান্তটির নোট নিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল আইসিসির এই রায় নিয়ে বলেছেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা একটি আইনি বিষয়। রাজনৈতিক বিষয় নয়। ইইউয়ের ২৭টি সদস্য দেশ এবং অন্যান্য স্বাক্ষরকারী দেশগুলো যা মানতে বাধ্য। ইসরায়েল  আইসিসির সদস্য দেশ না হওয়ায় এর ওপর আইসিসির কোনো এখতিয়ার নেই বলে দাবি করে দেশটি। তবে বৃহস্পতিবার পরোয়ানা ঘোষণার সময় আইসিসি জানায়, এর সদস্য রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের আঞ্চলিক বিচারিক এখতিয়ারের ভিত্তিতে ইসরায়েলের ওপর বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে।</p> <p>গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কারণে  নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের জন্য আইসিসিভুক্ত যেকোনো দেশে ভ্রমণ করা জটিল হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি</p> <p> </p>