<p>ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বন্যা দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি এবং দামোদর ভ্যালি করপোরেশনের (ডি ভিসি) ঝাড়খণ্ডের মাইথন ও পাঞ্চেত বাঁধ খুলে দেওয়ার ফলে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বুধবার রাজ্যটির কয়েকটি নদীর পানি বিপত্সীমার ওপর দিয়ে বইছিল।</p> <p>এদিকে এই বন্যা পরিস্থিতির জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকেই দায়ী করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বন্যা পরিস্থিতিকে ‘মানবসৃষ্ট’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। গতকাল দুপুরে রাজ্যটির হুগলি জেলার পুরশুড়া এলাকায় যান মমতা। সেখানে একটি সেতুতে দাঁড়িয়ে বন্যা পরিস্থিতি দেখে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন তিনি।</p> <p>মমতা জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের অসহযোগিতা ও উদাসীনতায় পশ্চিমবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আঙুল তুলেছেন ডিভিসির দিকেও। তিনি বলেন, ‘ডিভিসি থেকে সাড়ে তিন লাখ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে। আমি ডিভিসির সঙ্গে কথা বলেছি। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। এত পানি এর আগে কখনো ছাড়া হয়নি। যখন ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পানি ভরে যায়, তখন কেন পানি ছাড়ে না ডিভিসি? কেন্দ্রীয় সরকার ড্রেনেজ করে না। নিজেদের রাজ্যগুলোকে বাঁচাচ্ছে। আর সবটা বাংলার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা পরিকল্পিতভাবে বাংলাকে ডুবিয়েছে। এটা ম্যান মেড বন্যা।’</p> <p>এদিকে ডিভিসির ছাড়া পানিতে হুগলির বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পুরশুড়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ। তারকেশ্বরের একাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আরামবাগ ও গোঘাটের পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক। গতকাল খানাকুলে রূপনারায়ণ নদীর পানি বিপত্সীমার ওপর দিয়ে বইছিল। অন্যদিকে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর ও আমতা এলাকা বন্যার কবলে পড়েছে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা, হিন্দুস্তান টাইমস</p> <p> </p>