<p>উত্তর কোরিয়ার সেনারা রুশ ইউনিফর্ম পরে এবং সরঞ্জাম বহন করে ইউক্রেনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। প্রতিরক্ষাসচিব লয়েড অস্টিন গতকাল বুধবার এ কথা জানিয়েছেন। একে তিনি বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেছেন। অস্টিন ওয়াশিংটনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউনের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন। রাশিয়ায় পিয়ংইয়ংয়ের ১২ হাজার সেনা মোতায়েনের বিষয়ে উদ্বেগ বাড়ার পর তারা এ কথা বলেছেন। </p> <p>মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, উত্তর কোরিয়ার কিছু সেনা ইউক্রেনের সীমান্তে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে যাচ্ছে। যেখানে ক্রেমলিনের বাহিনী ইউক্রেনের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে লড়াই করেছে। উত্তর কোরিয়ার কিছু অগ্রগামী ইউনিট ইতিমধ্যেই কুরস্ক অঞ্চলে পৌঁছেছে এবং অস্টিন বলেছেন, রাশিয়া যুদ্ধে এই সেনাদের ব্যবহার করবে, এর ‘সম্ভাবনা খুব বেশি’।</p> <p>ইউক্রেনের জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত সার্জি কিসলিয়্যাস বুধবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে বক্তৃতায় বলেছেন,  এই সপ্তাহে প্রায় চার হাজার ৫০০ উত্তর কোরিয়ান সেনা সীমান্তে থাকবে এবং নভেম্বরে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ অভিযানে সরাসরি অংশগ্রহণ শুরু করবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মেক্সিকোতে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে দুই সাংবাদিককে হত্যা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/31/1730364055-440decaaa5ab1405377945c4ee02dbeb.gif" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মেক্সিকোতে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে দুই সাংবাদিককে হত্যা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/10/31/1441153" target="_blank"> </a></div> </div> <p>অস্টিন বলেছিলেন, কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কী করা যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করছেন। এ ঘটনায় ইউক্রেনের সংঘাতকে প্রসারিত বা দীর্ঘায়িত করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান। তবে অন্য দেশগুলো সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে যেতে পারে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অন্যরা পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত হতে পারে।’ অস্টিন বিস্তারিত আর কিছু বলেননি। </p> <p>অস্টিন বলেন, ‘আমরা আমাদের মিত্র এবং অংশীদারদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, যাতে রাশিয়াকে যুদ্ধে সেনা মোতায়েনে নিরুৎসাহিত করা যায়।’ কিম বলেছিলেন, ‘তিনি বিশ্বাস করেন না সেনা মোতায়েন কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধের সূত্রপাত করবে, তবে নিরাপত্তা হুমকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।’ কিম এবং অস্টিন উভয়েই উত্তর কোরিয়াকে তার সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন।</p> <p>মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ধারণা করছে, রাশিয়ায় এখন প্রায় দশ হাজার উত্তর কোরিয়ার সেনা রয়েছে। তবে অন্যরা সংখ্যাটি বেশি বলেছে। ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত বলেন, পূর্ব রাশিয়ার পাঁচটি ঘাঁটিতে প্রায় ১২ হাজার উত্তর কোরিয়ানকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যার মধ্যে কমপক্ষে ৫০০ জন অফিসার এবং জেনারেল স্টাফের তিনজন জেনারেল রয়েছে।</p> <p>কিসলিয়্যাস বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সেনাদের রাশিয়ান ইউনিফর্ম এবং রাশিয়ান ছোট অস্ত্র বহন করার পাশাপাশি রুশ পরিচয় নথি প্রদান করা হবে। তিনি বলেন, ‘তাদের উপস্থিতি গোপন রাখার জন্য এমনটা করা হবে।’ </p> <p>সূত্র : এপি</p>